৩ ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়লেন বিক্ষোভকারীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করার পর তার হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীর শাহবাগ মোড়। টানা তিন ঘণ্টা অবরোধ ও বিক্ষোভের পর শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে শাহবাগ কেন্দ্রিক সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
তবে মূল সড়ক ছেড়ে দিলেও সড়কের কিছু অংশে এখনও বিক্ষোভকারীদের ক্ষুদ্র একটি অংশের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
এর আগে ইনকিলাব মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব ও ডাকসু নেত্রী ফাতিমা তাসনিম জুমার ফেসবুক আহ্বানে বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে শাহবাগ চত্বর জনসমুদ্রে পরিণত করে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা 'দিল্লী না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা', 'মোদি না হাদি? হাদি হাদি' স্লোগানে এলাকা প্রকম্পিত করেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ছবি সম্বলিত কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা করতে দেখা যায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে।
বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শাহবাগ এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল জলকামান ও এপিসি। এছাড়া হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মিন্টো রোড অভিমুখী সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিক্ষোভের আগে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে শরীফ ওসমান হাদিকে সমাহিত করা হয়। দাফনকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় পৌঁছায় এবং রাতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়। আজ সকালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়েছিল।
