আইয়ুব খানের পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

জেনারেল আইয়ুব খানের পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদমর্যাদা ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন দেশটির বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির।
মঙ্গলবার (২০ মে) দেশটির প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ৬০ বছর পর এই পদে কোনো জেনারেলের পদোন্নতি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
প্রায় তিন দশকের মধ্যে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুতর সামরিক সংঘর্ষের কয়েক দিন পর জেনারেল আসিম মুনিরকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে শেহবাজ শরিফ বলেন, 'জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং শত্রুকে দৃঢ়ভাবে পরাজিত করার ক্ষেত্রে জেনারেল মুনিরের কৌশলগত নেতৃত্ব ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ' তাকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ফিল্ড মার্শাল পদটি একটি আনুষ্ঠানিক পাঁচ-তারকা র্যাঙ্ক, যা অসাধারণ নেতৃত্ব ও যুদ্ধকালীন কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয়।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক জেনারেল আইয়ুব খান সর্বপ্রথম নিজেকে ফিল্ড মার্শাল ঘোষণা করেন, এরপর থেকে আর কেউ এই পদমর্যাদা পাননি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, নতুন আনুষ্ঠানিক পদমর্যাদায় মুনির সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবেই দায়িত্বে থাকবেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিধুর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তবে কতদিন সিধুর চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হবে, তা জানানো হয়নি।
একই সঙ্গে মুনিরকে ফিল্ড মার্শালের পদে উন্নীত করার ফলে তার কোনো অবসরের তারিখ থাকবে কি না, তাও বলা হয়নি।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুনির।
সাধারণত সেনাপ্রধানের মেয়াদ তিন বছর হলেও, একটি সংসদীয় আইন সংশোধনের মাধ্যমে ২০২৩ সালের নভেম্বরে মুনিরের মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়।
সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মুনির বলেন, 'এটি [আমার] ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুরো জাতির জন্য সম্মান।'