১৯৭১-এর পর একক অভিযানে ভারতের সবচেয়ে বেশি বিমানঘাঁটিতে হামলা পাকিস্তান বিমান বাহিনীর

ভারতের হামলার জবাব বেশ সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দিয়েছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ)- এমনটাই মনে করেন পাকিস্তানের এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ।
গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'উপযুক্ত সময় ও পরিকল্পনার সমন্বয়ে আমরা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছি। এক্ষেত্রে আমরা স্পষ্ট ও দৃঢ় নেতৃত্ব পেয়েছি।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ ও নৌ বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব নেভাল স্টাফ (অপারেশনস) ভাইস অ্যাডমিরাল রাজা রব নেওয়াজ।
আওরঙ্গজেব আহমেদের মতে, ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কোনো একক অভিযানে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী (পিএএফ) সর্বোচ্চ সংখ্যক ভারতীয় বিমানঘাঁটিকে আক্রমণ করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা বেসামরিক এলাকা বা স্থাপনায় কোনো ধরনের ক্ষতি না করেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে নিশানা করেছি।'
পাকিস্তানের দ্রুত ও কার্যকর জবাব ভারতের আগ্রাসী আচরণকে 'নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি' হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা রুখে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার ভাষ্যমতে, 'পাকিস্তান তার আকাশসীমা রক্ষায় অটল। আমরা শক্তি ও সক্ষমতার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
আওরঙ্গজেবের দাবি, পুরো অভিযানের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান জাহির আহমাদ বাবর।
'তিনি (জাহির আহমাদ বাবর) আমাদের তিনটি স্পষ্ট নির্দেশনা দেন— প্রতিরোধ ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা, হুমকি মোকাবিলা করা এবং আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা', বলেন আওরঙ্গজেব আহমেদ।
তার দাবি, অভিযানের প্রথম ধাপে পাকিস্তান ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানগুলোকে আক্রমণ করে। এতে সীমান্তবর্তী ঘাঁটিগুলোর রাফাল বহর কার্যত স্থগিত হয়ে পড়ে। ফলে ভারতের হামলার সুযোগগুলো অনেকটাই সীমিত হয়ে যায়।
আওরঙ্গজেব আরও দাবি করেন, পাকিস্তানের বেসামরিক এলাকাগুলোতে ভারত ড্রোন হামলা চালিয়েছে।তবে পাকিস্তানের রাডার ও জ্যামিং প্রযুক্তি সব ড্রোন শনাক্ত করে এবং নিষ্ক্রিয় করে ফেলে, যার ফলে সেগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে।
অনুবাদ: নাফিসা ইসলাম মেঘা