‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের তাৎপর্য কী?

ভারত বুধবার (৭ মে) পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসলামাবাদের দাবি, হামলায় এক শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছে।
দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য ভারত 'অপারেশন সিন্দুর' নামটি বেছে নিয়েছে। এটিকে ধর্মীয় প্রতীকে পরিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
'সিন্দুর' শব্দটি এসেছে হিন্দু বিবাহিত নারীদের কপালে ব্যবহৃত লাল সিঁদুর বা গুঁড়ো রঙ থেকে। ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুজনেই অভিযানের এই নাম উল্লেখ করে একটি ছবি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) প্রকাশ করেন, যেখানে লাল সিঁদুর দেখা যায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর লেখেন, 'বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতা প্রদর্শন করতে হবে।' প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং হিন্দিতে লেখেন, 'ভারতের জয়'।
ভারত জানিয়েছে, 'অপারেশন সিন্দুর'-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অবস্থিত 'সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো' ধ্বংস করা হয়েছে। এতে দুই প্রতিবেশী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি জেট ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ওই পাঁচটি বিমানের মধ্যে তিনটি ছিল ফ্রান্স থেকে কেনা আধুনিক যুদ্ধবিমান রাফায়েল।
অবশ্য ভারত এই দাবিকৃত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য দেয়নি।
গত মাসে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। ওই ঘটনার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে, যদিও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে।
এপ্রিলে ওই হামলার পর কয়েকজন নারী স্বামীহারা হন। এর মধ্যে এক নারীর ছবি হামলার পরদিন ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে স্বামীর নিথর দেহের পাশে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। ছবিটি হামলার শিকারদের যন্ত্রণার প্রতীক হয়ে ওঠে।
হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মীরের একটি একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সম্পূর্ণ অঞ্চলটির ওপর দাবি রেখে দুই দেশ ইতোপূর্বে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে।