মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৭০০ ছাড়াল, নিখোঁজ ৪২১

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭১৯ জনে। সহায়তাকারী সংস্থাগুলো বলছে, দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে সুপেয় পানি ও খাদ্য সহায়তা এবং ভুক্তভোগী মানুষদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইং আজ মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৭১৯ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের একটি স্কুলের ভবন ধসে নিহত ৫০ শিশু ও দুই শিক্ষকও রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বেড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়াও ভয়াবহ এ দুর্যোগে আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৫২১ জন ও নিখোঁজ রয়েছেন ৪৪১ জন।
গত শুক্রবার মিয়ানমারের কেন্দ্রে মান্দালয় শহরের কাছাকাছি স্থানে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। তার কয়েক মিনিট পর ৬.৭ মাত্রার আরেকটি আফটারশক অনুভূত হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে শুক্রবারের ভূমিকম্পই ছিল মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) অনুমান অনুযায়ী, মিয়ানমারে যে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার হতে পারে। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যেতে পারে দেশটির বার্ষিক বাজেটকে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাগাইং অঞ্চলের মান্দালয় শহরে। রাজধানী নেপিডোতেও ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পে ধসে পড়া নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ওই ভবনধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২-জনে পৌঁছেছে। এছাড়াও এ পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ২০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।