কেবল দুইবার নয়, ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ আরও হয়েছে: ক্রেমলিন

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতনের মধ্যেই দুইবার ফোনালাপের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে এধরনের যোগাযোগ আরও বেশি হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর আজ রোববার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে এমনটা জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে ট্রাম্প জানান, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে স্মরণীয় হতে চান। এজন্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের ইতি টানার উদ্যোগ নেবেন। এই সংঘাতকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বিশ্বযুদ্ধ বেধে যাওয়ার হুমকি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ট্রাম্প পরে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেন, এবং এবছরের ১২ ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পুতিনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন। সবশেষ ১৮ মার্চেও দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফোনালাপের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। তবে তাঁদের মধ্যে আরও কয়েকবার কথা হয়েছে এমন অনুমানও করা হচ্ছিল। ট্রাম্প গত বছরে নির্বাচিত হওয়ার আগেও পুতিনের সাথে কথা বলেছেন এমন খবরও জানা গেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলটি ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁদের (ট্রাম্প-পুতিন) মধ্যে আরও ফোনালাপ হয়ে থাকতে পারে, তবে দুবারের বিষয়েও জানানো হয়েছে আর তিনি এদুটির বিষয়েই অবহিত।
পেসকভ বলেন, 'শুনুন, আমরা দুটি সংলাপের বিষয়েই জানি। তবে অন্যগুলো ঘটার সম্ভাবনাও নাকচ করছি না।' তখন টেলিভিশন চ্যানেলটির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, 'তাহলে বলছেন, সব ধরনের সম্ভাবনাই আছে?' যার উত্তরে ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেন, 'আসলে আমি এভাবেই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব।'
ট্রাম্প ও পুতিনের এসব টেলিফোন সংলাপে আতঙ্ক ও শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে। তাঁদের ভয়, ইউরোপকে পিঠ দেখিয়ে ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির দিকে যাচ্ছেন। বিনিময়ে রাশিয়া তেলের দর কমাতে সাহায্য করবে, আর মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।