হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসননের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি মোটরসাইকেল মালিককে আটকও করেছে র্যাব-২।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আব্দুল হান্নান (৪৩)। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি টিবিএসকে বলেন, '১৩ ডিসেম্বর মো. আব্দুল হান্নানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মোটরসাইকেলটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন।'
ইন্তেখাব চৌধুরী আরও বলেন, 'ঘটনার সময় তার মোটরসাইকেলটি কে বা কারা ব্যবহার করেছে, এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিভ্রান্তকর তথ্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাকে এ হত্যাচেষ্টার ঘটনায় একজন সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় সোপর্দ করা হয়।'
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে এই হামলার পর ফয়সাল করিম মাসুদ, ওরফে দাউদ খানের ছবি প্রকাশ করে জনসাধারণের কাছে তথ্য চায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ওসমান হাদি বর্তমানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে এখনও শঙ্কামুক্ত ঘোষণা করা হয়নি।
শুক্রবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় তাকে গুলি করার ঘটনা ঘটে। ওসমান হাদি একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় যাওয়ার সময় পেছন থেকে অনুসরণ করা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক আততায়ী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
হামলার পর তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা মেডিকেলের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদ রায়হান সাংবাদিকদের জানান, হাদির অবস্থা 'অত্যন্ত আশঙ্কাজনক'।
পল্টন থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি (গোয়েন্দা শাখা) ও পুলিশের অন্যান্য ইউনিট এই হামলায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত ও অভিযান পরিচালনা করছে।
