হাদি হত্যাচেষ্টা: প্রধান অভিযুক্ত ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ।
আবেদনে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করাসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে এবং প্রার্থীদের মনোবল দুর্বল করার অভিপ্রায়ে আসামি ও তার সহযোগী, সহায়তাকারী ও অর্থায়নকারীরা (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে) অজ্ঞাতনামা আসামিদের পরামর্শে ও নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।
ঘটনার পরপর এসব আসামি আত্মগোপনে চলে যায়। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি এবং সোর্সের তথ্য অনুযায়ী কবিরকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা খানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কবির এজাহারনামীয় আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই চলছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন নয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে তাকে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বর হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
এছাড়াও গত ১৫ ডিসেম্বর ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
