ভোট দিচ্ছেন জার্মানরা, ডানপন্থীদের ভোট আরও বাড়তে পারে

জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে আজ রোববার ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন দেশটির নাগরিকরা। ২১তম সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলে ফ্রেডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন সংরক্ষণবাদীদের ক্ষমতা সুসংহত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দিয়েছে নির্বাচন-পূর্ব জরিপগুলো। একইসঙ্গে অতি-ডানপন্থী দল– অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দলটির ইতিহাসে এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে বলেও পূর্বাভাষে বলা হচ্ছে।
ইউরোপের অর্থনীতির মন্দাবস্থার মধ্যে ভোট দিচ্ছেন জার্মানরা। অর্থনীতি ও অভিবাসনের মতো বিষয় এই নির্বাচনের ওপর মূল প্রভাব রাখছে।
নির্বাচনপূর্ব জরিপে মার্জের সিডিইউ/ সিএসইউ ব্লক এগিয়ে থাকলেও— তারা সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে। তখন তাদের সরকার গঠনের জন্য জোট গড়তে হবে।
জার্মানির জটিল ও বহুধাবিভক্তত রাজনৈতিক দৃশ্যপটে যা করা বেশ কঠিন হবে। কারণ, যাদের সাথে এই জোট গঠন করতে হবে, সেসব দলের সঙ্গে অভিবাসন ও এএফডির মতো কট্টর ডানপন্থী দলকে মোকাবিলার বিষয়ে– সিডিইউ/ সিএসইউ এর মতের তীব্র অমিল রয়েছে।
একারণে নির্বাচনের পরেও বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজকে আরও কয়েক মাস ধরে দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে থাকতে হতে পারে। জার্মানির কোম্পানিগুলো বর্তমানে বৈশ্বিক প্রতিযোগীদের সাথে টিকে থাকতে টালমাটাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে রাজনৈতিক সরকার গঠনে দেরী হলে— ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতিটির অতি-জরুরি পদক্ষেপগুলো নিতেও সমস্যার মুখে পড়বে।
জার্মানিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববারে নির্বাচন হওয়াটাই রেওয়াজ। সুতরাং, নির্বাচনের খাতিরে বাড়তি ছুটি বরাদ্দ নেই।
জার্মানির নির্বাচন আইন অনুযায়ী, নির্বাচন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হলো নির্বাচনী প্রশাসনের। এই প্রশাসন ভোটারদের বাড়িতে ছয় সপ্তাহ আগেই নির্বাচনী এলাকার নাম, ভোটকেন্দ্রের ঠিকানা, ভোট দেওয়ার সময়সহ কার্ড পাঠিয়ে দেয়।
নির্বাচনে সহায়তার জন্য এই প্রশাসন জার্মানিজুড়ে ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়েছে। অবৈতনিক বা নামমাত্র সম্মানীপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবীরা নির্বাচনের দিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোটাররা তাঁদের কাছে পাঠানো নির্বাচনী কার্ড ও পরিচয়পত্র নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবীদের দেখিয়ে ভোট দিতে পারছেন। ভোটাররা প্রত্যেকে দুটি ভোট দিতে পারবেন। একটি ভোট প্রার্থীকে, অপরটি দলকে।