নির্বাচনে গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা বাড়াতে ইসিকে পরামর্শ দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা বাড়াতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত সংলাপে শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেন। সংলাপ শেষে উপাচার্য এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'ডাকসু নির্বাচন এক রকম সবার সহযোগিতায় হয়েছে। এটা শুনে মনে হতে পারে আমরা একটা পাইওনিয়ার ধারণা নিয়ে কাজ করেছি। সবাইকে একটু উপদেশ দেওয়ার পর্যায়ে এসেছি। এটা আসলে ভুল ধারণা। আমরা এক রকম যুদ্ধের ভেতর দিয়ে গেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রথমত ধরে নিতে হবে, যে বা যারা নির্বাচনে হারবেন তারা অসন্তুষ্ট থাকবেন। শিষ্টাচার বলে যদি কিছু থেকে থাকে সেটির ওপর ভরসা করা যাবে না। সেফগার্ড মেজার নিয়ে নামতে হবে। মানে আশেপাশে যত মিডিয়া বা সিসি টিভি ক্যামেরা রাখা যায়; যত চোখ আশেপাশে রাখা যায়। ধরে নিতে হবে এই ব্যাপারটি চ্যালেঞ্জিং হবে।'
উপাচার্য বলেন, 'আমরা সাংবাদিকদের পাশে পেয়েছি। তাদের সঙ্গে সব সময় কথা বলেছি। কখনো কখনো বিরক্তিকর কথাবার্তাও তাদের সঙ্গে হয়েছে। কিন্তু তাদের সাপোর্ট অমূল্য ছিল। তাদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্যালট বক্স খোলা থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত সাংবাদিকরা ছিলেন।'
তিনি যোগ করেন, 'আর আমরা প্রাসঙ্গিক–অপ্রাসঙ্গিক সব কথা বলেছি। আর পর্যবেক্ষকরা আমাদের লাইফসেভিং ছিল। তারা যদি পুরো প্রক্রিয়া কাছ থেকে দেখেন, এটা আমাদের খুব কাজে লেগেছে। ডাকসু নির্বাচনে তাদের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন অমূল্য। যত বেশি সংখ্যক সাংবাদিক বা ক্যামেরা রাখা যায়, ততই ভালো, প্রয়োজনে অতিরিক্ত রাখা যেতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'আইটির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আইটি সাপোর্টেড যে কোনো বিষয়, যেহেতু আমাদের অবকাঠামোগত দুর্বলতা আছে, তাই বারবার পরীক্ষা করা প্রয়োজন। অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে সমস্যা তৈরি হলে সেটি বিশ্বাসযোগ্যতায় প্রভাব ফেলবে। তাই বারবার পরীক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে।'