পশ্চিমারা গোপনে রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছে : লাভরভ

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জন্য বহু পশ্চিমা নেতা সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে গোপনে তার সাথে যোগাযোগ করেছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই আলেইনিকের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সাথে আলাপের একপর্যায়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ক্রেমলিন যতদিন মস্কোর মূল স্বার্থকে সম্মান করবে ততদিন তারা সংলাপের জন্য প্রস্তুত।
লাভরভ সাংবাদিকদের বলেন, কিছু পশ্চিমা শক্তি আলোচনার মাধ্যমে একটি মীমাংসা করতে আগ্রহী। তবে তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেন, 'আমি চাই না এবং আমার দেশগুলোর নাম বলারও অধিকার নেই। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর উচ্চপর্যায়ের ও সুপরিচিত নেতাদের একজন অন্তত তিনবার ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে বলতে চেয়েছেন, কেন আমরা সাক্ষাৎ করি না এবং ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি না।'
লাভরভ যোগ করেন, রাশিয়া 'সর্বদা এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু কিয়েভের একটি পক্ষ রয়েছে যারা আলোচনার বিষয়ে অনাগ্রহী। অথচ আমরা কখনোই আলোচনা প্রত্যাখ্যান করিনি। তাই আমাদের দিকে এ প্রশ্ন তোলা অবান্তর।'
ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রসঙ্গ টেনে লাভরভ বলেন, যেকোনো আলোচনার জন্য 'রাশিয়ার বৈধ স্বার্থ' বিবেচনা করতে হবে। আর এ আলোচনার অর্থ অবশ্যই হতে হবে 'অন্যের কাঁধে ভর করে নিজের নিরাপত্তা তৈরির প্রচেষ্টা বন্ধ করা।'
যদিও মস্কোর সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একাধিক দফা আলোচনা হয়েছে, তবে সেগুলো খুব একটা কার্যকরী হয়নি।
চলতি মাসের শুরুতে অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসসিই) একটি বৈঠকে লাভরভ বলেছিলেন, ২০২২ সালের মার্চে ইস্তাম্বুলে আলোচনার পর উভয়পক্ষ একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছেছিল।
পশ্চিমা নেতারা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রকাশ্য কোনো মন্তব্য করেননি বললেই চলে। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা পর্দার আড়ালে বিষয়টি নিয়ে ঠিকই আলোচনা করেছেন।