অস্থির অবস্থার মধ্যে তারেক রহমান ব্যালেন্সিং ফ্যাক্টর হতে পারেন: মহিউদ্দিন আহমদ
আলোচনায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রভাব সম্পর্কে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, 'দেশের একটা অস্থির অবস্থার মধ্যে ১৭ বছর পরে তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন। তার আসার কারণে দল এখন চাঙ্গা হবে এবং তার দলের লোকেরা তাকে যে ওয়েলকাম করলো এটি তারেক রহমানের জন্য একটা বিশাল পাওয়া।'
জনগণের প্রত্যাশা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, 'মানুষের যে চাওয়া তার সঙ্গে তিনি যদি সঙ্গতি রেখে রাজনীতি করেন তাহলে হয়তো তার জন্যও ভালো হবে, দেশের জন্য ভালো হবে, মানুষের জন্যও ভালো হবে।'
তারেক রহমানের সাম্প্রতিক ভাষণের প্রশংসা করে এই বিশ্লেষক বলেন, 'তিনি একটা ভাষণ দিয়েছেন। সেই ভাষণটিতে খুব ব্যালেন্সড কথাবার্তা ছিল। তিনি কোনো উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন নাই। কারো প্রতি বিষদগার করেন নাই। এবং তিনি একসময় যারা তাকে ভিকটিমাইজ করেছিল তাদের সম্পর্কে তিনি কোনো শব্দ উচ্চারণ করেননি। অত্যন্ত সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। এই সংযমটা যদি বজায় থাকে এবং সবাই যদি এই ধরনের সংযমের পরিচয় দিতে পারেন তাইলে কিন্তু আমাদের রাজনীতিতে অনেকাংশে সংঘাত কমে যাবে।'
দেশের বর্তমান নিরাপত্তা ও তারেক রহমানের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দেশের মানুষ তো আসলে খুব অনিরাপদ বোধ করা শুরু করেছিল যে কিছু দুর্বৃত্তের হাতে আমরা চলে যাচ্ছি। এই সময়টাতে তারেক রহমান ফিরে আসাতে সবাই আশা করছেন যে তিনি একজন ব্যালেন্সিং ফ্যাক্টর হতে পারেনি এই অস্থির অবস্থার মধ্যে।'
রাজনীতিতে প্রতিহিংসার অবসান প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন আহমদ বিশ্লেষণ করেন, 'আমাদের রাজনীতিটা তো বড় রকমের হোঁচট খেয়েছে ২০০৯ এর পর থেকে। এ সময়ে সমাজের একটা বড় অংশকে এক্সক্লুড করে দেওয়া হয়েছিল। জুলাই আন্দোলনের পরে যেহেতু তারা কামব্যাক করেছে তাই আমরা আশা করতেই পারি, যে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলে আসছিল সেটা কমবে। আমাদের দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি কিন্তু গোড়া থেকেই ছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সমাজে রাজনীতিতে সব জায়গায় একটা রিকনসিলিয়েশনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এই রিকনসিলিয়েশন মানে কিন্তু নিজের সুবিধা অনুযায়ী না, সমাজের সর্বস্তরের জন্য। তারেক রহমান যে কারো প্রতি বিষোদগার করেননি তার মানে, তিনি প্রতিহিংসার শিকার হলেও কারো ওপরে তিনি প্রতিহিংসা দেখাবেন না। এমন হলে কিন্তু আমরা একটা ইনক্লুসিভ সোসাইটির দিকে যেতে পারব।'
