ডাকসু নির্বাচনে নানা ‘অসঙ্গতি’, প্রশাসনের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ আবিদ-কাদেরের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নানা অসঙ্গতি থাকলেও প্রশাসন তা নিয়ে 'গড়িমসি' করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আবিদুল ইসলাম খান, আবদুল কাদের ও উমামা ফাতেমা। আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা প্রশাসনের কাছে নির্বাচন সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয়ে জানতে চান।
এ সময় প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, নির্বাচনের আগে ৭ সেপ্টেম্বর গাউসুল আজম মার্কেটের একটি ছাপাখানায় ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য চেয়েছেন।
তারা আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোটার টার্নআউট দেখানো হয়েছে, তারা সেই পরিমাণ উপস্থিতি মাঠে দেখতে পাননি। তাই তারা ভোটারদের স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচন সম্পর্কিত নানা অসঙ্গতি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, প্রশাসন তালিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতার বিষয়টি সামনে এনেছে। এছাড়া বাকি বিষয় খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি কাজ করছে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে গাউসুল আজম মার্কেটে ব্যালট পেপার এবং স্বাক্ষর তালিকার বিষয়ে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তাদের মধ্যে এসব বিষয়ে একটি অনীহা দেখতে পাচ্ছি।
স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উমামা ফাতেমা বলেন, ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়ার বিষয়ে প্রশাসন কোনো জবাব দিতে পারেনি। ভোটারের তালিকা আগেও প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় ভোটারদের স্বাক্ষর রয়েছে; কে কাকে ভোট দিয়েছেন, তা উল্লেখ নেই। ফলে এখানে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বিশেষ করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বিষয়ে কনসার্ন এসেছে। এই দুই হলে এত পরিমাণ ভোট টার্নআউট হয়নি। কিন্তু সেখানে উপস্থিত উপাচার্য ও প্রক্টর বলছেন, এসব (তথ্য) দেওয়ার সুযোগ নেই।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আবিদুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা কনসার্নগুলো জানিয়েছি। আমরা গাউসুল আজমে অরক্ষিত ব্যালটের বিষয়ে জানতে চেয়েছি, তারা বিষয়টি জানেই না।
তিনি বলেন, ভোট কাস্টিং তালিকা নিয়ে তারা গড়িমসি করছে। এটি আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সে তালিকায় কেবল উপস্থিতির স্বাক্ষর আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল মনোনিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম, স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে জিএস প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী এবং ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী শেখ তানভীর আল হাদী মায়েদ।