অব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ তৈরি হয়েছে: ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সমালোচনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, অব্যবস্থাপনা এবং স্বচ্ছতার অভাবে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে পর্যবেক্ষকদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বেশকিছু অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রথমত, সব প্যানেল ও প্রার্থীর পর্যাপ্ত সংখ্যক পোলিং এজেন্ট ছিল না। তাদের পাস দিতে দেরি করা হয়েছে এবং অনেক কেন্দ্রে আমরা পোলিং এজেন্টদের খুঁজে পাইনি। পোলিং এজেন্ট হিসেবে যতগুলো আবেদন জমা পড়েছিল, তার তুলনায় নিয়োগের সংখ্যাটা খুব কম ছিল। তার মানে সব পক্ষ সমান পোলিং এজেন্ট পাননি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র যাচাইয়ের নির্দেশিকা ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি এবং কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা জেনেছি দুটি হলের কেন্দ্রে টিক দেওয়া ব্যালট পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে বলে শুনেছি। আমাদের পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, এই ভোটকেন্দ্রগুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের সবাইকে সমগুরুত্ব নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
পর্যবেক্ষকরা পোলিং অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সামিনা বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার এই নিয়োগের মানদণ্ড সম্পর্কে জানতে চেয়েছি, কিন্তু প্রক্রিয়াটি এতটাই অস্বচ্ছ ছিল যে সারাদিনেও আমরা বুঝতে পারিনি যে কীসের ভিত্তিতে তাদের ওখানে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, এই অস্বচ্ছতার প্রভাব ভোটগ্রহণের ওপর পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করি।
রোকেয়া হলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিএসসির একজন পোলিং অফিসারের সাথে একজন সহকারী প্রক্টরের বাগবিতণ্ডার পর সেখানে ভোটার উপস্থিতি কমে যায়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আনুষ্ঠানিক অনুমতি থাকলেও বাস্তবে অনেককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এছাড়া বুথের ভেতরে কলমের সংকটের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।