সংক্রমণ প্রতিরোধে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভিড় এড়ানোর আহ্বান চিকিৎসকদের

বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে জরুরি সেবা দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন ইনসস্টিটিউট। তাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুর্ঘটনার পরপরই বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা হাসপাতালে চলে আসেন। হাসপাতালে তখন চিকিৎসক বা নার্সের সংকট ছিল না। তবে উৎসুখ জনতা ও আহতদের দেখতে আসা রাজনীতিবিদদের কারণে সেবা দিতে সমস্যা হয়েছে তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক টিবিএসকে বলেন, অভিভাবক, উৎসুক জনতা ও পলিটিক্যাল লোকজনের কারণে আমরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। আমরা হার্ডলাইনেও যেতে পারছি না– কারণ বেশিরভাগই তো অভিভাবক।
বার্ন ইনসস্টিটিউটের সহকারী রেজিস্টার ডা. আহমেদুর রহমান বলেন, "আমাদের তো ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতা আগে থেকেই আছে। জনবল বা কোন কিছুতে সমস্যা হচ্ছে না। এপর্যন্ত ৫৯ জন রোগী এসেছে। অধিকাংশই শিশু। ৯ জন আইসিইউতে আছে। সাধারণত ৪০ শতাংশ বার্ন হলেই ক্রিটিক্যাল (সংকটাপন্ন) মনে করা হয়। বার্নের ক্ষেত্রে ইনফেকশন প্রতিরোধ জরুরি। এখন রক্তের চেয়ে বেশি প্রয়োজন ইনফেকশন (সংক্রমণ) প্রতিরোধ।'
সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধে, সর্বসাধারণের প্রতি হাসপাতালে ভিড় এড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।