গোপালগঞ্জে সহিংসতা ও মৃত্যু কীভাবে হলো তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি: শফিকুল আলম

গোপালগঞ্জে সহিংসতা ও মৃত্যু কীভাবে হলো সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি পুরো ঘটনা তদন্ত করবে। ঘটনা কেন হলো, কীভাবে মৃত্যুগুলো হলো—সব বিষয় দেখবে তদন্ত কমিটি। সহিংসতা কারা করলো সেটিও দেখা হবে।
এসময় শফিকুল আলম বলেন, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত কমিটি।
তিনি জানান, আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দুজন অতিরিক্ত সচিবও এই কমিটিতে থাকবেন।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ জানান, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ১৫ থেকে ৩০ দিন আগে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।
তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকা সাধারণত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হতো। ১৮ বছর বয়সী বা ততদিনে ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিরা সেই তালিকায় যুক্ত হতেন। কিন্তু অনেক সময় যদি নির্বাচন অক্টোবর বা তার পরে হয়, তবে নতুন যোগ্য ভোটারদের তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়—কারণ খসড়া তালিকা বছরে কেবল একবারই প্রকাশিত হতো।'
তিনি আরও বলেন, 'এখন আইন পরিবর্তনের ফলে বছরের শেষের দিকেও যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হন, তারাও নিবন্ধন করতে পারবেন। এর ফলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ১৫ থেকে ৩০ দিন আগে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।'
এর আগে, সরকার গতকাল (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনাটি তদন্তে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
গোপালগঞ্জ জেলা শহরে বুধবার দিনভর উত্তেজনা ও অস্থিরতা বিরাজ করে। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট দখল করে নেয় এবং লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা চালায়।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানায়, সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত কয়েক ডজন।
এদিকে, সরকার গোপালগঞ্জের সহিংসতাকে 'একেবারে অগ্রহণযোগ্য' বলে আখ্যা দিয়েছে এবং জানিয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।