গলায় ব্লেড চালিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির

ঢাকার জজ আদালত প্রাঙ্গণে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বাদল হোসেন মুন্না নামের এক নারী নির্যাতন মামলার আসামি।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ২১ বছর বয়সী মুন্নাকে আহত অবস্থায় প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিপন বলেন, "আসামি হঠাৎ নিজেই নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার গলায় হালকা কাটাছেঁড়া হয়েছে, বড় ধরনের ক্ষত হয়নি। চিকিৎসা শেষে আবারও তাকে আদালতে আনা হবে।"
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বলেন, "২০২২ সালের জুন মাসে কদমতলীতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন মুন্না। ওই ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে আসামিপক্ষ ভিকটিমকে আবার জেরার আবেদন করে। আজ ভিকটিমকে জেরা করা হয়। জেরায় ভিকটিম বলেন, আসামির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। পরে হয়তো আবেগতাড়িত হয়ে আসামি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।"
ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সাইফুর রহমান বলেন, "আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে অসুস্থ লাগছিল। আমি তার নাম জিজ্ঞেস করি, যাতে তাকে হাজতখানায় নেওয়া যায়। কিন্তু সে কোনো উত্তর দেয় না। পরে একটু দূরে চলে যায়। দেখি, তার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে, সে পড়ে যাচ্ছিল। আমি দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেলি। নিচে একটি শেভ করা ব্লেড পড়ে থাকতে দেখি। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।"
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সালাউদ্দিন বলেন, "আসামির শ্বাসনালী কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটি পুলিশ কেইস, তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।"
আসামির বাবা আব্দুল আলী বলেন, "কয়েক মাস ধরে আমার ছেলে জেলে। আজ তার জামিন শুনানি ছিল। সে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ব্লেড দিয়ে নিজের গলায় পোচ দেয়। তার শ্বশুর নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা করেছে।"