মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: এজাহার থেকে ৩ আসামির নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ বাদীর

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় প্রকৃত আসামিদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
মামলার বাদী মঞ্জুয়ারা বেগমের অভিযোগ- মামলা দায়েরের সময় তার দেওয়া আসামিদের তালিকা থেকে তার অজান্তে তিনজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যা করা হয়। পরদিন ১০ জুলাই বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম।
নিহত সোহাগ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্তার অভিযোগ ওঠে। এরই একপর্যায়ে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের পর যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এজাহার থেকে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় মঞ্জুয়ারা বেগম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমি আসামিদের তালিকা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তালিকা থেকে তিনজনের নাম বাদ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। এজাহারে ২২ জনের নাম দিয়েছিলাম। পরে সেটা ১৯ জন করা হয়।'
তিনি বলেন, 'তালিকা থেকে বাদ দেওয়া আসামিরা হলেন- কাইয়ুম মোল্লা (৪৫), রাকেশ (৩৫) ও রহিম (৩৬)।
'তবে আজ (রোববার) সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ তালিকা থেকে বাদ পড়া তিনজনের নাম এজাহারে যুক্ত করবে বলে জানিয়েছে', যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে মামলার রেকর্ডিং কর্মকর্তা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীনকে একাধিকাবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন।
পরে পুলিশের লালবাগ ডিভিশনের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টিবিএসকে বলেন, 'মামলা হয়ে যাওয়ার পর এজাহার সংশোধনের বিষয়টি আমার জানা নেই। কারা আজ বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, সেটাও বলতে পারবো না।
'এজাহার থেকে আসামি বাদ দেওয়ার বিষয়ে শনিবার (১২ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বলেছি', যোগ করেন তিনি।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মো. জসীম উদ্দীন বলেছিলেন, 'পুলিশ মামলা নিতে কোনো ধরনের অনাগ্রহ প্রকাশ করেনি। আমরা ভিকটিমের সত্যিকারের আত্মীয়কে খুঁজেছি। প্রথমে একজন এসেছিল, তিনি ভিকটিমের ওয়াইফ পরিচয় দেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার সঙ্গে সোহাগের বিচ্ছেদ হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমরা সোহাগের বোনকে খুঁজে পাই। তিনি মামলা করেছেন। এজাহার থেকে আসামির নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।'