মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: দুই ভাইয়ের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই সহোদর রাজীব বেপারী ও সজীব বেপারীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত রোববার নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার চায়না মোড় এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় রাজীব ও সজীবকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনের পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগকে এলোপাতাড়ি পাথর দিয়ে আঘাত ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পরদিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করে।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।