ফেসবুকে পাসপোর্টের ছবি দেখেই কালামের মৃত্যুর খবর পান পরিবারের সদস্যরা
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাড মাথায় পড়ে নিহত আবুল কালামের ছেলেটির বয়স পাঁচ এবং মেয়েটির বয়স মাত্র তিন বছর। এতটুকু বয়সেই বাবাকে হারালো দুটি শিশু।
নিহত আবুল কালামের পরিবারের সদস্যরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করতেন। পরিবার নিয়ে থাকতেন নারায়ণগঞ্জে। ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত ফার্মগেট এলাকায় যাতায়াত করতেন।
প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ থেকে মতিঝিলে আসেন আবুল কালাম। এরপর কাজের জন্য সেখান থেকে বের হয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফার্মগেট এলাকায় যান। সেখানেই মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং প্যাড খুলে তার মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি চোকদার জানান, দুপুরে আমরা টিভিতে খবর দেখি মেট্রোরেলের নিচে একজন মারা গেছে। পরে যখন ফেসবুকে একটা পাসপোর্টের ছবি দেখি তখনই আমরা বুঝতে পারি আমাদের কালাম মারা গেছে।
তিনি জানান, ছোটবেলায় বাবা মা হারান কালাম। এরপর বেড়ে ওঠেন ভাইবোনের কাছে। রোববার দুপুরে মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই কথা বলেছিলেন পরিবারের সাথে।
কালামের মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন দুর্ঘটনার প্রাণহানির ঘটনায় শোকে স্তব্ধ পরিবারসহ এলাকার বাসিন্দারা।
