৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সালমান এফ রহমানের সঙ্গে থাকা ১২ আসামির জামিন
মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (এমডিএফ) ৫৬৮ কোটি টাকা প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত ১২ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ২৭ জন এজাহারভুক্ত আসামি।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরামের (আইওএফ) নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মঈনুল হক, (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল হান্নান, আশিক আহমেদ, গাজী মো. সালাহউদ্দিন, হাফিজুর রহমান, খালিদ ইসলাম, মো. মাহতাবুল আমিন, সোহেল শরীফ, তাজিন আলম, নাদির শাহ কোরেশী, মীর নাসির হোসেন ও মুসফিক মনজুর।
আরও পড়ুন: সালমান, শায়ানসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা বিটিআরসির
এদিন আসামিরা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসির পক্ষে সংস্থাটি সিনিয়র সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) গঠনের পর প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স এবং চুক্তির শর্ত ও বিশ্বাস ভঙ্গ করাসহ প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে। নেটওয়ার্ক উন্নয়নে আদায়কৃত মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাতে জড়িত ছিলেন আইওএফ কার্যনির্বাহী কমিটির এই সদস্যরা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক গেটওয়ে খাত কুক্ষিগত করেন সালমান। তার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আইওএফ নামের এই সিন্ডিকেট।
আরও বলা হয়, সালমান এফ রহমানের নির্দেশনায় প্রতি মাসে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের বিপুল অঙ্কের অর্থ জমা দিতে হতো তার মালিকানাধীন বেক্সিমকো কম্পিউটারস লিমিটেডে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটির নামে আইজিডব্লিউ পরিচালনার কোনো লাইসেন্স নেই। মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের নামে অর্থ সংগ্রহ করা হলেও এর প্রকৃত ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নন খোদ আইজিডব্লিউ অপারেটররাই।
