চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর: দখলের অভিযোগ অস্বীকার এনসিপির

চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ে আওয়ামী লীগের উত্তর জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে নগরের দোস্ত বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় অবস্থিত কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের উত্তর জেলা কার্যালয়ে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা ভাঙচুর চালায়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আরিফ মঈনুদ্দিনসহ কয়েকজন তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করছেন।
পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, এনসিপি কার্যালয়টি দখল করেছে। তবে বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এনসিপি মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, 'আমরা দখল করতে যাইনি, শুধু অফিসের নতুন সেটআপ ভেঙে দিয়েছি। শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেখে ছাত্র–জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছে। গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন- এ নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনও ক্ষোভ আছে।'
তিনি আরও বলেন, 'গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলছে, দরজা-জানালা লাগানো হচ্ছে, লোকজন আসা-যাওয়া করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।'
এদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি সম্পর্কে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ অবহিত করেনি। নগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'ঘটনার বিষয়ে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। কোনো অভিযোগও পাইনি।'
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মাহফুজুর রহমান টিবিএসকে বলেন, 'এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। আমরা কোনো অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'