লোডশেডিং কমাতে আরও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করবে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা

চলমান গ্রীষ্ম মৌসুম এবং আসন্ন ঈদুল আজহায় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সরকার আরও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল এবং জ্বালানি আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
আজ (১২ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'ঈদুল আজহার সময় অনেক মানুষ শহর থেকে গ্রামে যান। ফলে শহরাঞ্চলে এসির ব্যবহার কমে যায়। একইসঙ্গে, গ্রীষ্মের উচ্চ বিদ্যুৎচাহিদা পূরণে আমরা আরও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করব।'
ফাওজুল কবির আরও বলেন, 'গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার অতিরিক্ত চারটি এলএনজি কার্গো আমদানি করবে। এসব ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আমরা লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব বলে আশা করছি।'
সম্প্রতি, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবিএল)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১০ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত এক মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ১ হাজার ৪২৫ মেগাওয়াট।
এই সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার ও লোডশেডিং—দুটোই বেড়েছে।
১০ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৫৯৩ মেগাওয়াট, যা ছিল প্রায় চাহিদার সমান। ওইদিন লোডশেডিং ছিল ২৩৬ মেগাওয়াট।
১০ মে সর্বোচ্চ উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ১৮ মেগাওয়াটে, কিন্তু চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট, ফলে লোডশেডিং হয় ৬৫১ মেগাওয়াট।
এদিকে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং পিজিসিবিএলের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।