বিএনপির অন্যতম আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, বিএনপির আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক রয়েছেন অনেকেই, যারা আওয়ামী লীগ থেকে বেশি আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা।
আজ রোববার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, হাসিনা বলতো ২০টা হুন্ডা ১০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা। আজ রুমিন ফারহানা, যিনি হাসিনার কাছে ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করেছিলেন, হাসিনার পতনে আমার মনে হয় তিনিই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন।
হাসনাত আরও বলেন, আওয়ামী লীগ থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ পণ্য যাদের মনে হয়, তাদের মধ্যে রুমিন ফারহানা অন্যতম। উনি সবসময় বলে থাকেন, বিগত ১৫ বছর নাকি উনি অনেক ভালো ছিলেন। উনি অবশ্যই ভালো থাকবেন। কারণ, উনি যত ধরনের আওয়ামী সুবিধা রয়েছে, সব ধরনের সুবিধা নিয়েছেন।
এনসিপির এই নেতা বলেন, আপনারা দেখেছেন কীভাবে বিএনপির একজন নেত্রী বলছেন, আমরা চাইলে এখানে গুন্ডা নিয়ে আসতে পারতাম। অর্থাৎ গুন্ডার পৃষ্ঠপোষকতা উনারা দিয়ে আসছেন। আমরা দেখছি নির্বাচন কমিশনের বাইরে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশন অফিসের যদি এই অবস্থা হয়, সারা দেশে এই বিএনপির যারা রয়েছে, এই গুন্ডাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে, তারা কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করবে সেটার টেস্ট ম্যাচ আজ হয়ে গিয়েছে।
হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, আওয়ামী লীগের ফ্ল্যাটভোগী এবং যারা গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঠান্ডা করে দিতে চায়, যারা একটা প্রেস্ক্রিপটিভ ইলেকশনের দিকে আবার যেতে চায়, আমরা এই বিএনপির আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদকদের বলব, আমরা আপনারা '২৪ পরবর্তী জনগণের পালসকে বুঝুন। নয়তো আবার বাংলাদেশ একটি সংকটের দিকে যাবে।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ করে এসেছি জানিয়ে হাসনাত বলেন, আমরা পুলিশকে দেখেছি এখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্বাচন কমিশনে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ফ্রি এক্সিট দিয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন কতিপয় পার্টির পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে হাসনাত আরও বলেন, আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা আবার গুন্ডাতন্ত্রের দিকে যেতে চায় না। তারা আবার ১/১১-এর মঞ্চস্থের জন্য অপেক্ষা করছে না। সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে আমরা বস্তুনিষ্ঠ পেশাদারিত্বের ভূমিকায় দেখতে চাই। নির্বাচন কমিশন যেভাবে দলকানা, একটি দলের প্রতি, একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে যেভাবে নির্লজ্জের মতো কাজ করছে, সেটি আমরা যে নির্বাচনমুখী হচ্ছি, তার পথে অন্তরায় বলে মনে করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপরে হামলা করা হয়েছে। আবার আমরা যদি রুমিন ফারহানার কথাই ধরে নেই, নিজ দলের মধ্যেই এখনো পর্যন্ত কমান্ড নিশ্চিত করা হয় নাই, শৃঙ্খলা নাই। বিএনপির নেতা-কর্মীরাই উনার কথা মতে উনাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এটা খুবই শেইম।