একাত্তর ইস্যু অমীমাংসিত নয়, দু’বার সমাধান হয়েছে, দাবি পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর

একাত্তরের ইস্যু অমীমাংসিত নয় বরং দুইবার এর সমাধান করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি দুই দেশকে অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় একটি হোটেলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমনটা বলেন।
ইসহাক দার বলেন, বিষয়টি দু'বার সমাধান করা হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো এই বিষয়টি লিখিতভাবে সমাধান করা হয়েছিল। সেই দলিলটি ঐতিহাসিক এবং উভয় দেশের কাছেই তা রয়েছে। তারপর ২০০০ সালের শুরুতে যখন জেনারেল মোশাররফ সফর করেছিলেন এবং তিনি পাকিস্তানের সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সমগ্র জাতিকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
'তিনি [জেনারেল মোশাররফ] অত্যন্ত খোলামেলা এবং অকপটভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। এবং আমি মনে করি, একটি পরিবারের মধ্যে, ভাইদের মধ্যে—যখন একবার কোনো কিছুর সমাধান হয়ে যায় তখন হৃদয়কে পরিষ্কার রাখতে হয়—এমনকি ইসলামও তাই বলে। তাই আসুন আমরা সামনে এগিয়ে যাই। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, আমাদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে', যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা একটি দারুণ পরিবার এবং আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। এখানে একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে যা আমাদের কাজে লাগানো উচিত। আমি, আমার ভাই তৌহিদ এবং পুরো দলটিকে উভয় দেশের মানুষের জন্য সম্ভাব্য সেরাটা করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সুতরাং, এটাই চুক্তি এবং আমরা সেটাই করছি।'
উল্লেখ্য, দুই দিনের সফরে গতকাল শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় আসেন ইসহাক দার। গতকাল বেলা দুইটার দিকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আজ সকালে ইসহাক দার বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক করেন। পরে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ইসহাক দারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি, চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি কর্মসূচি (প্রোগ্রাম) সই হয়েছে।