শিল্পে গ্যাস সংকট কাটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ কমাবে সরকার

শিল্পে গ্যাস সংকট কাটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ কমাবে সরকার। পাশাপাশি চলতি মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত পরিকল্পনার বাইরে বাড়তি চার কার্গো এলএনজি আমদানি করে শিল্প খাতে সরবরাহ করা হবে। এই দুই খাত থেকে বর্তমানের তুলনায় দৈনিক ২৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস শিল্প খাতে বাড়তি সরবরাহ করা হবে।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে জ্বালানি বিভাগে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিল্পখাতের গ্যাস সংকট মোকাবিলায় এই কৌশল তুলে ধরেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, 'রমজান এবং সেচের বাড়তি চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিল। সেখানে এখন ১৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে শিল্পে দেওয়া হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আর মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সরকার এলএনজি আমদানির যে পরিকল্পনা করেছে, তার সাথে বাড়তি চার কার্গো এলএনজি আমদানি করে প্রতিদিন আরও ১০০ এমএমসিএফডি গ্যাস শিল্পে দেওয়া হবে। ফলে এখন থেকে শিল্পে যে গ্যাস সরবরাহ করা হয়, তার তুলনায় ২৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস বাড়তি সরবরাহ করা হবে।'
আপাতত গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না উল্লেখ করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, শিল্পের এই বাড়তি গ্যাস সরবরাহ করতে গিয়ে সরকারের ১১ হাজার কোটি টাকার বাড়তি ব্যয় হবে।
শিল্প উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই ২৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস বাড়তি সরবরাহ করা হলে তাদের যে চাহিদা আছে সেটি মিটবে।
অনুষ্ঠানে দেশের ব্যবসায়ী–শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, শিল্পোদোক্তারা সরকারের কাছে সমস্যা তুলে ধরেছে। সরকার সেটি মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার যেভাবে পরিকল্পনা করেছে, সেই অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা হলে, আমরা সন্তুষ্ট ও আমাদের প্রয়োজন মিটবে।
বৈঠকে মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোস্তফা কামাল, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মো. হাতেম, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।