পরমাণু শক্তি কমিশনের অধিকার কীভাবে খর্ব হয়েছে জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি তাদের অধিকার খর্ব হওয়ার যে অভিযোগ তুলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সেটির ব্যাখ্যা চেয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
গতকাল (২৩ এপ্রিল) এক চিঠিতে মন্ত্রণালয় অনুরোধ করেছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত যদি মন্ত্রণালয়ের কোনো চিঠিপত্রে কমিশনের ক্ষমতায় অন্যায় হস্তক্ষেপ করা হয়ে থাকে, তবে তার বিস্তারিত তালিকা, সংশ্লিষ্ট তথ্য ও কপিসহ জমা দিতে।
এই পদক্ষেপটি এসেছে এক দিন পর, যখন পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শেরেবাংলা নগরে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তোলেন, বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি এ এস এম সাইফুল্লাহ অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিজ্ঞানী ও কর্মচারীদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নষ্ট করছেন।
তিনি বলেন, কমিশনের বিজ্ঞানীদের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণে নানা বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ২০১১ সালে সরকার কমিশনকে সরকারিভাবে আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তা মন্ত্রণালয়ের হাতে তুলে দেয়।
এরপর থেকেই উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা নানা রকম বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কমিশনের চেয়ারম্যানকে পাঁচটি আলাদা চিঠি পাঠিয়ে সব কাগজপত্র ২৭ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে বলেছে।