ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল: বেনাপোল থেকে ফেরত এল ৪ ট্রাক রপ্তানি পণ্য

বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করায় বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চারটি বাংলাদেশি রপ্তানিপণ্য বোঝাই ট্রাক ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বেনাপোল বন্দর থেকে ট্রাকগুলো ঢাকায় ফেরত আসে।
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পর গতকাল পেট্রাপোল থেকে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লিমিটেড-এর পণ্যবাহী চারটি ট্রাক ফেরত পাঠানো হয়।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় কাস্টমসে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যার ভিত্তিতে ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এ বিষয়ে বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ভারত সরকারের এমন আচমকা সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করবে। আমরা আশা করি, তারা এমন আক্রোশমূলক পদক্ষেপ থেকে সরে এসে বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে আমাদের চারটি রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক ফেরত পাঠাতে হয়েছে। এতে রপ্তানিকারকদের বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস তৃতীয় দেশের পণ্যে কার্গো পাস ইস্যু করেনি। এতে ওই সব পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে ঢুকতে পারছে না। তবে ভারতের অভ্যন্তরে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আসা অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ২০২০ সালের ২৯ জুন দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট–সংক্রান্ত আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে স্থলপথে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারে পণ্য রপ্তানির সুযোগ বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য।
পূর্ববর্তী নীতিমালায় ভারতীয় ভূমি শুল্ক স্টেশন (এলসিএস) ব্যবহার করে বাংলাদেশ তৃতীয় দেশে রপ্তানির জন্য পণ্য পরিবহন করতে পারত। এ প্রক্রিয়ায় শুল্ক স্টেশন থেকে এসব পণ্য পরবর্তীসময়ে ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরে পাঠানো হতো।