সরকারি চাকরিতে কোটার প্রয়োগ পরীক্ষায় কমিটি গঠন

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরির নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে একটি কমিটি করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে আজ মঙ্গলবার ১১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনের একজন করে যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে— কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখার উপসচিবকে কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ কোটার প্রয়োগ পর্যালোচনা করে কমিটিকে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং সাত শতাংশ কোটায় নিয়োগের নিয়ম রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন সরকার।
কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করলেও— পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিটি সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ওই আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার পতনের পর সরকারি চাকরিতে কোটার প্রয়োগ নিয়ে কিছুক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সে জন্য কোটার প্রয়োগ নিয়ে স্পষ্ট মতামত দিতে— সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে।