Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 04, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 04, 2025
যে বাজেটের লক্ষ্য নিরাময়, স্বপ্ন দেখা নয়

অর্থনীতি

সাজ্জাদুর রহমান
02 June, 2025, 11:30 am
Last modified: 02 June, 2025, 11:26 am

Related News

  • এ বাজেট অপচয়-অসংগতি কমানোর: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • জুলাই অভ্যুত্থানের শুরু বেকার সমস্যা থেকে, কিন্তু বাজেটে এর সমাধানে উদ্যোগ নেই: নাহিদ
  • প্রস্তাবিত বাজেট প্রাক্কলনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, কিন্তু প্রত্যাশার চেয়ে কম: সিপিডি’র মোস্তাফিজুর
  • ‘প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য ঋণের চক্র থেকে বের হওয়া, আগের প্রকল্পগুলোর অব্যবস্থাপনা দূর করা’
  • পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সময় লাগবে: অর্থ উপদেষ্টা

যে বাজেটের লক্ষ্য নিরাময়, স্বপ্ন দেখা নয়

সাজ্জাদুর রহমান
02 June, 2025, 11:30 am
Last modified: 02 June, 2025, 11:26 am
কার্টুন: টিবিএস

বাংলাদেশের এবছরের (২০২৫-২৬) জাতীয় বাজেট একটি নির্বাচিত সরকারের হাত থেকে নয়, আসছে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাছ থেকে—যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে টেকনোক্র্যাট-ভিত্তিক সরকার। রাজনৈতিক বোঝা থেকে মুক্ত এই সরকার কঠিন বাস্তবতা মোকাবেলার সুযোগ ও সদিচ্ছা—দুটোই আছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে তার ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই দেখাও যাচ্ছে।

মূল্যস্ফীতি এখনও উচ্চ থাকলেও— সামান্য হারে কমতে শুরু করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে দীর্ঘদিনের রক্তক্ষরণ কিছুটা হলেও থেমেছে, ফলে বলা যায়—রোগী এখনও সুস্থ নয়, তবে আর মৃত্যুপথযাত্রীও নয়। এমনকি বহুদিন ধরেই সমস্যাপূর্ণ ব্যাংক খাত, যা অনিয়ম, খেলাপি ঋণ, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে জর্জরিত, তাতেও কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্যের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে—যদিও রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার ওপর নির্ভর কিছু 'অবধারিত' ব্যাংক – এখনও সেই পুরনো অবস্থানেই আছে।

আরও আশাব্যঞ্জক খবর হলো—২০২৪–২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ, যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ডলারে। রেমিট্যান্সের এই ইতিবাচক ধারাও বাড়তি সুরক্ষা দিচ্ছে। রপ্তানি আয়ও একই সময়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে—যা এই কঠিন সময়েও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। রাজস্ব কর্মকর্তাদের হয়রানি কমানো, শুল্ক সংস্কার, রাজনৈতিক প্রভাবযুক্ত উন্নয়ন প্রকল্পে লাগাম টানা—ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের দরকারি এসব বিষয় নিয়েও সরকারের তরফে ইতিবাচক আলাপ-আলোচনা শোনা যাচ্ছে।

তবে এটি নিঃসন্দেহ যে, বাস্তবতা বলছে, এটি একটি সাধারণ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের বাজেট নয়—বরং কাঠামোগত মেরামতের সুকঠিন কাজ।

বিনিয়োগ স্থবির, কর্মসংস্থান সৃষ্টি – যা  নিয়ে নীতিনির্ধারকরা একদা বড়াই করতেন প্রায় থেমে গেছে, জ্বালানি নিরাপত্তা সংকট গভীরতর হচ্ছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে অনেক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে। টানা তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের উপরে অবস্থান করছে—যেটি এখন কেবল সংখ্যার হিসাব নয়, বরং সাধারণ মানুষের দুয়ারে বাস্তব এক যন্ত্রণা হয়েই হানা দিচ্ছে। ভোক্তারা ক্লান্ত, ছোট ব্যবসাগুলো ধুঁকছে, বেসরকারি বিনিয়োগ সহজে হতে চাইছে না।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এই সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে নজর রাখছে কড়া স্কুল শিক্ষকসুলভ ভঙ্গিতে। সংস্থাটির ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুধু কোনো চেক নয়, বরং কঠিন নির্দেশনাসহ একটি ব্যবস্থাপত্র। যার মূল কথা—কর রাজস্বের হার ৮ শতাংশ থেকে বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে এপর্যন্ত সরকার কী উপায় বের করতে পেরেছে? দেখা যাচ্ছে, তারা সেই পুরনো করদাতাদের ওপরই বাড়তি চাপ দিচ্ছেন।

তবুও প্রত্যাশার উচ্চতা আছে—থাকাই স্বাভাবিক। দেশের অন্যতম শ্রদ্ধেয় অর্থনীতিবিদ, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন আছেন সরকারের নেতৃত্বে; যার উপদেষ্টা পরিষদে আছেন দেশের অন্যতম সম্মানিত অর্থনৈতিক চিন্তকরা; দক্ষ আর্থিক ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও দায়িত্বে আছেন একজন সুদক্ষ গভর্নর।

তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট কোনো বড় স্বপ্নের ঘোষণা হতে পারবে না। সেই অবকাশও এখানে নেই। এটা হবে এক জরুরি মেরামতের বাজেট—ব্যর্থতা সামাল দেওয়া, অর্থনীতির তরীকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা এবং ব্যবস্থাপনাগত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একটি প্রয়াস।

এই বাস্তবতায়, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারকে ভারসাম্যের সূক্ষ্ম দড়ির উপর দিয়ে হাঁটতে হবে। আলংকারিক কিছু করার সুযোগ নেই, প্রতিটি সিদ্ধান্তে হিসাব রাখতে হবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাজস্ব ও মুদ্রানীতিতে শৃঙ্খলা জরুরি। তবে সেটা অতিরিক্ত কড়াকড়ি হলে প্রবৃদ্ধি আরও বাধাগ্রস্ত হবে এবং বিনিয়োগের আগ্রহও যেটুকু এখনো আছে— আরও কমবে। অন্যদিকে সরকারের ব্যয় বাড়ালে চাহিদা হয়তো বাড়বে, কিন্তু যে মূল্যস্ফীতি রোধের লক্ষ্য— সেটিই আবার চড়া হতে পারে। একইভাবে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী করের আওতা বাড়ানো এবং ভর্তুকি কমানোর মতো সংস্কারগুলো দীর্ঘমেয়াদে জরুরি হলেও তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক চাপে পড়ে সরকার।

এই সরকারের সামনে একটি বাস্তব সত্য রয়েছে—তারা রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত নয়, তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তাদের বাস্তবায়নের সুযোগ সীমিত। নির্বাচিত সরকারের মতো পাঁচ বছরের পথনির্দেশের দরকার তাদের নেই। ফলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট কোনো রাজনৈতিক ভিশনে পরিচালিত হতে হবে না, যা কোনো নির্বাচিত সরকার হলে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রয়াস নিতে হতো। অর্থনীতিবিদদের মতে, এ বাজেটকে তাই হতে হবে বর্তমানমুখী—স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, এবং অর্থনীতিকে কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য অবস্থানে ফেরানোর কাজে নিবেদিত।

এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট অফিস অ্যান্ড পোভার্টি ডিভিশনের সাবেক পরিচালক ড. সেলিম জাহান পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন।

প্রথমত, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, যা না থাকলে আরও কোনোকিছুরই গুরুত্ব থাকবে না। দ্বিতীয়ত, রাজস্ব ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে যাতে সরকারি সম্পদের ব্যবস্থাপনায় রাজস্ব শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তৃতীয়ত, মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত প্রবৃদ্ধি। চতুর্থত, নতুন প্রকল্পের পরিবর্তে চলমান প্রকল্প শেষ করার ওপর জোর। এবং পঞ্চমত, ঋণ ও ভর্তুকি ব্যবস্থাপনায় বাস্তববাদী ও সংযত দৃষ্টিভঙ্গি, কারণ এদুটোই এখন স্বস্তির সীমার অনেক বাইরে রয়েছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুর্শিদ বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে সোজাসাপ্টা বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।" ব্যাংক খাতে কিছু অগ্রগতি দেখা গেলেও তা যথেষ্ট নয়। তিনি আরও বলেন, "কাঠামোগত বেশকিছু সীমাবদ্ধতা এখনো আমাদের আটকে রাখছে; যেমন বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গাটা বেশ দুর্বল, অন্যদিকে জ্বালানি ঘাটতি, শ্রমিক অসন্তোষ, ব্যাংক ঋণে সীমাবদ্ধতা ও এলসি খোলায় জটিলতা ব্যবসার বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তবে তাঁর সবচেয়ে বড় শঙ্কা হলো সার্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশকে ঘিরে। তিনি বলেন, সবার আগে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির পরিবেশকে স্থিতিশীল করতে হবে–- সতর্ক নজর রাখতে হবে খাদ্য উৎপাদনে। খাদ্য উৎপাদনে যেকোনো অস্থিতিশীলতা ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেন ড. মুর্শিদ।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে তাঁর প্রত্যাশা বাস্তববাদী। তিনি বলেন, "চমক নয়, স্থিতিশীলতা ফেরানোর দিকে নজর চাই। তবে রাজস্ব নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এনবিআরের রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে মনে হয় না।"

তিনি কর কাঠামোর আরেকটি বড় সমস্যা—পরোক্ষ কর নির্ভরতা তুলে ধরে তিনি বলেন, "জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমছে, ফলে কর-জিডিপি অনুপাতে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। বরং পরোক্ষ কর আরও বাড়তে পারে, এটা হবে দুঃখজনক, কারণ এটা দরিদ্র জনগণের ওপর বেশি চাপ দেয়, ন্যায্যতাকে ক্ষুণ্ণ করে।"

এদিকে অর্থনীতিবিদরা যখন রাজস্ব শৃঙ্খলা আর মুদ্রানীতির আলোচনায় ব্যস্ত, তখন ব্যবসায়ীরা যুজছেন বাস্তব সমস্যার বিরুদ্ধে—জ্বালানি প্রাপ্তি আর ব্যবসা টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।

"আমার বড় বড় প্রতিশ্রুতির দরকার নাই, প্রথমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাই, তারপর আমার বিনিয়োগের নিরাপত্তা ও প্রো-বিজনেস পরিবেশের কথা বলেন," বলছিলেন লিটল স্টার স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক মো. খোরশেদ আলম।

শনিবার তাঁকে জ্বালানি উপদেষ্টা গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। তা কি বাস্তবে এসেছে?

"হয়তো এসেছে, হয়তো আসেনি। বলতে পারি না," এমন প্রশ্নে তিনি বলেন। তাঁর কণ্ঠে স্পষ্ট নিরাশার সুর, যখন তিনি ব্যাখ্যা করেন, "কারখানায় বিদ্যুৎ নেই, ফলে গ্যাসের চাপ বা উৎপাদন অনলাইনে মনিটর করতে পারছি না।"

আলম একটি অত্যাধুনিক মিল পরিচালনা করেন। যেখানে ডিজিটাল উৎপাদন পর্যবেক্ষণের মতো আধুনিক ব্যবস্থাপনাও আছে। কিন্তু, বিদ্যুৎ না থাকলে পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর—শিল্পাঞ্চলে উদ্যোক্তাদের মধ্যে সার্বিক যে হতাশা— সেটিই যেন উঠে আসে তাঁর কণ্ঠে। কারণ, কারখানার চাকা না ঘুরলে নীতিনির্ধারকদের কোনো প্রতিশ্রুতিরই আর অর্থ থাকে না।

শুধু জ্বালানি নয়, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ সতর্ক করেন ব্যাংক ঋণের ওপর সরকারের অতিনির্ভরতা নিয়ে—যা বেসরকারি খাতকে কোণঠাসা করে ফেলছে। একারণে বেসরকারি উদ্যোগগুলো ক্রাউড আউট হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন তিনি।

টিবিএসকে শামস মাহমুদ বলেন, "গণমাধ্যমে অগ্রিম আয়কর নিয়ে যেসব প্রস্তাব দেখেছি, তা পোশাক শিল্প থেকে শুরু করে সিমেন্ট, ইস্পাত ও কৃষি পর্যন্ত প্রায় সব খাতে ব্যয় বাড়িয়ে দেবে। করভিত্তি সম্প্রসারণের বাড়ানোর উদ্যোগ দেখলে খুশি হতাম, কিন্তু এপর্যন্ত সরকার বিদ্যমান করদাতাদেরই আবারো লক্ষ্যবস্তু করছে।"

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে মনে করেন তিনি। শামস বলেন, "গত জুলাই আন্দোলনের অন্যতম বড় কারণ ছিল কর্মসংস্থানের তীব্র ঘাটতি।"

আর সাধারণ মানুষের কাছে জাতীয় বাজেট বরাবরাই এক কাগুজে কল্পনার গল্প। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা গাড়িচালক মাসুদ রানা, অথবা দিলু রোডের ছোট মুদি দোকানদার কবির হোসেন—তাঁদের কাছে বাজেট মানে কেবল বাঁচার সংগ্রামে আরেকটি অস্পষ্ট অধ্যায়।

"প্রতি মাসের ২০ তারিখেই বেতন শেষ হয়ে যায়," বলেন সদ্যবিবাহিত রানা। "ক্ষুধা একটু লাগলে, চা-বিস্কুটে খেতেই লাগে ২০ টাকা। ঘর ভাড়া বাড়ে প্রতি বছর, সেটা থামানোর কেউ নেই।"
আর কবিরের সমস্যা অতোটা তীব্র নয়, তাঁর ব্যবসা একসময় ধীরেসুস্থে চললেও স্থির ছিল, তবে এখন লোকসানের মুখে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তিন বছর ধরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে, ভেঙে পড়েছে সরবরাহ শৃঙ্খল।

কবির বলেন, "আগে যে সাপ্লায়াররা বাকিতে মাল দিত, এখন নগদ ছাড়া দেয় না। আমার মতো ওরাও ভয় পায়।"

বাজেট নথি ও নীতি সংস্কারের দুনিয়ার বাইরে— মাসুদ আর কবিরই বাজেটের বাস্তব মুখ—বাজেটের প্রতিটি লাইন আইটেমে যাঁদের দৈনন্দিন সংগ্রামের বাস্তব প্রতিফলন থাকা উচিত।

হ্যাঁ, আশার আলো আছে। কিন্তু তা জন্ম নিচ্ছে এক বিরূপ অবস্থার মধ্যে। ফলে অর্থনীতির প্রকৃত পুনরুদ্ধারের হিসাবনিকাশ স্রেফ এক্সেল শিটে হবে না— বরং তাঁর পরিমাপ হবে গৃহস্থের হেঁসেল থেকে শুরু করে সারাদেশের দোকানঘর, কারখানাগুলোতে। 
 

Related Topics

টপ নিউজ

বাজেট ২০২৫-২৬ / বাজেট / বাজেট ঘোষণা / ২০২৫-২৬ অর্থবছর / বাজেট পেশ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি
  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই
  • ‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • ১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা
  • জাতীয় গ্রিডে আসতে চলেছে রূপপুরের বিদ্যুৎ

Related News

  • এ বাজেট অপচয়-অসংগতি কমানোর: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • জুলাই অভ্যুত্থানের শুরু বেকার সমস্যা থেকে, কিন্তু বাজেটে এর সমাধানে উদ্যোগ নেই: নাহিদ
  • প্রস্তাবিত বাজেট প্রাক্কলনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, কিন্তু প্রত্যাশার চেয়ে কম: সিপিডি’র মোস্তাফিজুর
  • ‘প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য ঋণের চক্র থেকে বের হওয়া, আগের প্রকল্পগুলোর অব্যবস্থাপনা দূর করা’
  • পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সময় লাগবে: অর্থ উপদেষ্টা

Most Read

1
বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি

2
বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই

3
বাংলাদেশ

‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা

4
আন্তর্জাতিক

১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা

5
বাংলাদেশ

জাতীয় গ্রিডে আসতে চলেছে রূপপুরের বিদ্যুৎ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net