Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
May 22, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, MAY 22, 2025
দুর্বল ব্যাংকের বড় আমানতকারীদেরকে শেয়ার, বন্ড দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

অর্থনীতি

আবুল কাশেম
20 May, 2025, 08:10 am
Last modified: 20 May, 2025, 12:53 pm

Related News

  • একদিনে চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে ১২০০ কনটেইনার, রাজস্ব ঘাটতির শঙ্কা
  • আপাতত এনবিআর বিভক্তির অধ্যাদেশ কার্যকর করছে না সরকার, আগের নিয়মে কাজ চলবে
  • আজ থেকে এনবিআর কর্মকর্তাদের অসহযোগ আন্দোলন, শনিবার থেকে দেশজুড়ে ধর্মঘট 
  • অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর-কর্মকর্তাদের বহুল প্রত্যাশিত সভা ভেস্তে গেল যে কারণে
  • লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তাদের, শনিবার থেকে কর্মবিরতি

দুর্বল ব্যাংকের বড় আমানতকারীদেরকে শেয়ার, বন্ড দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবিত বিভক্তি ও সচিব নিয়োগের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের চলমান প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ উপদেষ্টা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন—এক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না।
আবুল কাশেম
20 May, 2025, 08:10 am
Last modified: 20 May, 2025, 12:53 pm
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। স্কেচ: টিবিএস

দুর্বল ব্যাংকগুলোতে বড় অংকের আমানতকারীদের সরাসরি টাকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এসব আমানতের বিপরীতে ব্যাংকের শেয়ার দেওয়া হবে। কেউ শেয়ার না চাইলে বিকল্প হিসেবে ট্রেজারি বন্ড নেওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

সোমবার (১৯ মে) নিজের দপ্তরে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা এত তাড়াহুড়ো করে ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট ও এনবিআর বিভক্তির অর্ডিন্যান্স করার কারণ হলো, রাজনৈতিক সরকার এলে এগুলো আর করা সম্ভব হবে না।'

দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি মূল্যায়নের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে ছয়টি দুর্বল ব্যাংকের দুর্বল সম্পদ, তহবিলসহ প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা ব্যাংক সংস্কার করব। তখন বড় বড় আমানতকারীদের দুটি অপশন দেওয়া হবে। কে পুরো অর্থ ফেরত পাবেন আর কাকে শেয়ারের বিপরীতে অর্থ দেওয়া হবে, তা তখন স্পষ্ট করা হবে।'

কেউ যদি শেয়ার নিতে না চান, সে ক্ষেত্রে করণীয় কী—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'যাদের অনেক পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা আছে, তারা পুরো টাকাটা একবারে পাবেন না। বলা হবে, আপনি হয় ব্যাংকের শেয়ার নিন, না হয় ট্রেজারি বন্ড নিন। একটা অপশন তাকে বেছে নিতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'যাদের ডিপোজিট কম, তারা অর্থ ফেরত পাবেন। এজন্য একটি তহবিল গঠন করা হবে, যা পরিচালনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখানে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না, শুধু আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করবে। ব্যাংক সংস্কারে কত বিলিয়ন ডলার লাগবে, তার একটি হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক করেছে।'

এনবিআর বিভক্তি নিয়ে আপস নয়

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবিত বিভক্তি ও সচিব নিয়োগের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের চলমান প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ উপদেষ্টা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন—এক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না।

তিনি বলেন, 'এনবিআরে আন্দোলন হচ্ছে, কর্মবিরতি হচ্ছে। কিন্তু আমরা এ বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ [আপস] করব না। ২০০৮ সালেও এনবিআর কর্মকর্তারা এমন চেষ্টা করেছিলেন। তখন কাস্টমস অফিসিয়ালরা অটোমেশন হতে দেয়নি। অথচ তখন যদি অটোমেশন ও ব্যবস্থাপনা আলাদা করা হতো, তাহলে এতদিনে রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতি অনেক ভালো হতো।'

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ পুনর্গঠন সম্পন্ন হবে। তবে অর্গানোগ্রাম চূড়ান্তে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে জানান। নীতি বিভাগটি অবশ্যই সুগঠিত হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

সচিবদের এনবিআরের নিজস্ব ক্যাডার থেকেই নিতে হবে—এনবিআর কর্মকর্তাদের এমন দাবিকে নাকচ করে দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'ভেটিংয়ের সময় আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, সচিব পদের জন্য ক্যাডার নির্দিষ্ট করে দিলে খসড়া ভেটিংয়ে পাস করা যাবে না। এনবিআরে অধিকাংশ সচিব সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন ক্যাডার) থেকে হয়েছেন। এর আগে কয়জন সচিব কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের কর্মকর্তা ছিলেন?'

তিনি আরও বলেন, 'এনবিআর কর্মকর্তারা দুই বিভাগের সচিবই তাদের ক্যাডার থেকে চাচ্ছেন—এটা তো সম্ভব নয়।'

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ও করদাতার ওপর চাপ বাড়বে না

জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে আগামী অর্থবছরে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, 'আমি ইতোমধ্যে জ্বালানি উপদেষ্টাকে বলেছি, "গ্যাসের দাম যেটুকু বেড়েছে, আর বাড়ানোর দরকার নেই। গ্যাস-বিদ্যুতের সিস্টেম লস ও অপচয় কমিয়ে ভর্তুকি যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যে পরিমাণ ভর্তুকি প্রয়োজন হবে, সেটা আমি দেব। অযথা সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি চাপ দেবেন না।'''

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণের শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে কর-জিডিপি বাড়াতে গিয়ে সাধারণ করদাতাদের ওপর কোনো অতিরিক্ত কর আরোপ করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন উপদেষ্টা।

'শুল্ক, আয়কর ও ভ্যাট থেকে আদায়কৃত অর্থের বড় একটি অংশ কখনো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে পৌঁছায় না—তা চলে যায় অনেকের পকেটে। আমরা যদি এই অর্থ সরকারি কোষাগারে আনতে পারি, তাহলে জনগণের ওপর করের চাপ কমানো সম্ভব এবং বিদ্যুৎ ও পানির দামও কমানো যেতে পারে,' তিনি বলেন।

দুর্নীতির একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'কয়েকদিন আগে একজন কমিশনার এক ব্যবসায়ীর ১০০ কোটি টাকার কর ৬০ কোটি টাকা ঘুষ খেয়ে ১০ কোটি টাকায় মিউচুয়াল করে ছেড়ে দিয়েছেন। এনবিআর চেয়ারম্যান এ বিষয়ে ধরে ফেলেছেন। আমি চেয়ারম্যানকে বলেছি, আগে তাকে ধরুন, সাসপেন্ড করুন এবং পুলিশের কাছে দিন। কর ব্যবস্থায় এমন অনেক ঘটনাই ঘটছে। এভাবে অনেক দুর্নীতি হচ্ছে।'

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে না, বাড়বে না করমুক্ত আয়সীমাও

অর্থ উপদেষ্টা ঘোষণা জানান, বর্তমান করনীতি বজায় রেখে আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাই থাকবে। তিনি বলেন, 'মোট যেসব রিটার্ন জমা হয়, তার ৭৫ শতাংশই জিরো ট্যাক্স দেয়। করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়িয়ে দিলে ৮০ শতাংশ জিরো ট্যাক্স হবে। তাই আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।'

অবৈধ আর্থিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে সালেহউদ্দিন ঘোষণা করেন, আগামী অর্থবছরে কোনো খাতে কালো টাকা বৈধ করার কোনও সুযোগ থাকবে না।

'আমি কাউকে অন্যায্য কোনো সুবিধা দেব না,' তিনি জোর দিয়ে বলেন। 'আমি বরং চেষ্টা করছি, জমির মৌজা মূল্য বাড়িয়ে করহার কমিয়ে দিতে। গুলশান মৌজার জমির মূল্য এক কাঠা ১৫ লাখ টাকা। অথচ সেখানে এক কাঠা জমির দাম ৫ কোটি টাকা। এখন যিনি জমি বিক্রি করছেন, তিনিও কালো টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন। তাদের অনেকে বিপদেও পড়েছেন। এটা বন্ধ করতে আমি জমির মূল্য বাড়িয়ে করহার কমিয়ে দেব। এতে সবার টাকা বৈধ হবে, সরকারও সমপরিমাণ রাজস্ব পাবে।'

পুঁজিবাজারের উদ্বেগ এবং বিএসইসি নেতৃত্ব প্রসঙ্গ

পুঁজিবাজারের অস্থিরতার কথা স্বীকার করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'বেচারা মাকসুদ [বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যান] একজন খুব ভালো ব্যাংকার, সেরাদের একজন... তিনি সিটি ব্যাংক এনএ'তে কর্মরত ছিলেন। এখন অনেকে তার অপসারণের সাথে সাথে আমারও অপসারণ চায়। তাদের কথা, আমি কেন এনবিআর ভাগ করলাম।'

বিএসইসি চেয়ারম্যানের সম্ভাব্য পদত্যাগ সম্পর্কে জল্পনা-কল্পনার জবাবে সালেহউদ্দিন চেয়ারম্যানের বিকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 'হ্যাঁ, তাকে সরিয়ে কাকে আনবেন? শিবলি রুবাইয়াতের মতো লোক আনবেন? যার মাধ্যমে তিন হাজার কোটি টাকা সালমান এফ রহমানকে দিয়ে দিলো আইসিবি। সুকুক বন্ডের পুরো টাকাও তিনিই নিয়েছেন। এরপর "আমার বন্ড"সহ বিভিন্নভাবে পুঁজিবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছেন।'

তিনি বিএসইসির বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন। 'আমি বিএসইসি চেয়ারম্যানকে বলেছি, ছোট বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য নতুন আইপিও আসতে হবে। কিন্তু নতুন আইপিও আসছে না,' বলেন তিনি।

সালেহউদ্দিন স্টক মার্কেট থেকে অবাস্তব প্রত্যাশার বিরুদ্ধেও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, 'বিনিয়োগকারীদেরও বুঝতে হবে, শেয়ারবাজার কোনো নিয়মিত আয়ের উৎস নয়। শেয়ারপ্রাইস বাড়বে—এটা ধরে নেওয়ার বিষয়। অনেকে মনে করেন, আমি শেয়ার কিনব, মাস শেষে লাভে বিক্রি করব। এটা তো কোনো দেশেই নেই।'

অতীতের বাজার হস্তক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমি স্বীকার করি, অনেকের ৮০ টাকার শেয়ার এখন ২০ টাকায় নেমে গেছে। এজন্য আমি ইতোমধ্যে আইসিবিকে ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। আইসিবি সেখান থেকে সুকুক বন্ডের ইন্টারেস্ট বাবদ ২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে, আর ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।'

বেসরকারি খাতের জন্য সমান সুযোগ ও বীমা নিয়ে উদ্বেগ

আগামী বাজেটে ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও উন্মুক্ত এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'এখন একই ব্যক্তি ব্যাংক, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক, আবার তিনি এমপিও বটে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, এই ধরনের একচেটিয়া প্রভাব যাতে না থাকে। ব্যবসা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষও উপকৃত হবেন।'

উপদেষ্টা আরও বলেন, 'প্রাইভেট সেক্টরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে এর জন্য কিছু শর্ত থাকবে—যেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে, যা আগে করা হয়নি। আগে শুধু প্রভাবশালীরা সুবিধা পেতেন, ভালো ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে পড়তেন। আমি এনবিআরকে বলেছি, বাড়তি কর আরোপ না করে ট্রেড [ব্যবসা] সহজ করতে বলেছি। ব্যবসার প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে বলেছি।'

বীমা খাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সালেহউদ্দিন বলেন, 'ইন্সুরেন্স নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। কিছু কিছু কোম্পানি মানুষের টাকা নিয়ে খেয়ে ফেলছে। ইন্সুরেন্সগুলোর ডিরেক্টররা কোনো নিয়ম-কানুন মানেন না। এটা নিয়ে আইডিআরএ'র চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই এর সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।'

সামাজিক খাতে জোর এবং বিক্ষোভ মোকাবিলা

মানব পুঁজিতে অধিক বিনিয়োগের পরিকল্পনা তুলে ধরে সালেহউদ্দিন বলেন, 'আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়ানো হবে। তবে অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে হয়তো বেশি হবে না।'

তিনি এসব খাতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জও স্বীকার করেন। 'প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুলের পেনশনসহ আরও অনেক বিষয়ে জটিলতা রয়েছে, যা আমরা এবার সমাধান করব। স্বাস্থ্যখাতে যন্ত্রপাতি কিনে ফেলে রাখা হয়, ফলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। পর্যাপ্ত ডাক্তারও নেই। আমরা এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করছি।'

স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীদের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে ৩ হাজার ডাক্তারকে সুপার নিউমারারি প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের পদোন্নতি দিলে বেতন-ভাতা [সরকারের অতিরিক্ত ব্যয়] যা-ই বাড়ুক না কেন, তারা খুবই উৎসাহ পাবেন, অনেক সম্মান পাবেন। স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় আমরা পরিচালন বাজেট বাড়াব। উন্নয়ন বাজেটও বেড়েছে।'

বিভিন্ন দাবিতে জনগোষ্ঠীগুলোর আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ ব্যবসা-বিনিয়োগ এবং সরকারের জন্য একটি সমস্যা বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি এই বিক্ষোভের শুরুতে সরকারের প্রতিক্রিয়াকে কৌশলগত ভুল বলে মন্তব্য করেন।  'শুরুতেই আমাদের বলা উচিত ছিল যে, আমরা কোনও দাবি-দাওয়া মানব না। আমরা শুধু রিফর্ম [সংস্কার] করব। কিন্তু এটা আমরা শুরুতে করিনি,' বলেন তিনি। 'এই সরকার আসার পর থেকে বিভিন্ন পক্ষ একের পর এক যৌক্তিক ও অযৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে,' তিনি আরও বলেন।

এসএমই খাতে সহায়তা ও কৃচ্ছ্রতার পদক্ষেপ

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) শক্তিশালী করার উদ্যোগ হিসেবে সালেহউদ্দিন বলেন, 'বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই খাতের অর্থায়নের জন্য একটি পৃথক তহবিল গঠন করবে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংককে বলে দিয়েছি, ওই তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো ৫ শতাংশ হারে অর্থ পাবে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ১০ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে।'

সরকারের ব্যয়সংক্রান্ত কঠোরতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, 'আমরা এখনও কৃচ্ছ্রতা করছি। আগামী অর্থবছরও যথাসম্ভব বাহুল্য কোনও খরচ করব না। গত আট মাসে আমরা গাড়ি কেনার মতো সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছি, অনুষ্ঠান করা, দেশের বাইরে যাওয়াও কমিয়েছি। এগুলো আমরা কন্টিনিউ করব।'

মূল চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ

প্রাথমিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন বলেন, 'আমরা আশাবাদী যে, আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে পারব। আর ডিসেম্বরের মধ্যেই ৭.৫ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই সাইড ঠিক রাখতে হবে।'

মুদ্রাস্ফীতির পেছনে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, 'যারা উৎপাদন করে, তারা দাম পায় না। বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীরা চলে আসে। বগুড়ায় বেগুন ১০ টাকা, ঢাকায় ৬০ টাকা। গ্রামে কলার ডজন ১২ টাকা, এখানে আমরা ১০০ টাকা দিয়ে কিনি। কিছু মিডলম্যান প্রয়োজন আছে, কিন্তু কিছু আছে চাঁদাবাজি। ট্রাকে হাত বাড়িয়ে টাকা নিয়ে নিচ্ছে। এটা কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা নয়, বরং আইনশৃঙ্খলার সমস্যা।'

 

Related Topics

টপ নিউজ

দুর্বল ব্যাংক / অর্থ উপদেষ্টা / সালেহউদ্দিন আহমেদ / সালেহ উদ্দিন আহমেদ / সাক্ষাৎকার / শেয়ার / বন্ড / ব্যাংক / এনবিআর

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা, পাবেন ১ জুলাই থেকে 
  • অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর-কর্মকর্তাদের বহুল প্রত্যাশিত সভা ভেস্তে গেল যে কারণে
  • লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তাদের, শনিবার থেকে কর্মবিরতি
  • হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ
  • পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শালে পদোন্নতি, কী এর তাৎপর্য
  • করিডর নিয়ে 'কোনো আলোচনা হয়নি', ত্রাণ 'চ্যানেল' দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায়: খলিলুর রহমান

Related News

  • একদিনে চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে ১২০০ কনটেইনার, রাজস্ব ঘাটতির শঙ্কা
  • আপাতত এনবিআর বিভক্তির অধ্যাদেশ কার্যকর করছে না সরকার, আগের নিয়মে কাজ চলবে
  • আজ থেকে এনবিআর কর্মকর্তাদের অসহযোগ আন্দোলন, শনিবার থেকে দেশজুড়ে ধর্মঘট 
  • অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর-কর্মকর্তাদের বহুল প্রত্যাশিত সভা ভেস্তে গেল যে কারণে
  • লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তাদের, শনিবার থেকে কর্মবিরতি

Most Read

1
বাংলাদেশ

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা, পাবেন ১ জুলাই থেকে 

2
অর্থনীতি

অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর-কর্মকর্তাদের বহুল প্রত্যাশিত সভা ভেস্তে গেল যে কারণে

3
বাংলাদেশ

লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তাদের, শনিবার থেকে কর্মবিরতি

4
বাংলাদেশ

হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ

5
আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শালে পদোন্নতি, কী এর তাৎপর্য

6
বাংলাদেশ

করিডর নিয়ে 'কোনো আলোচনা হয়নি', ত্রাণ 'চ্যানেল' দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায়: খলিলুর রহমান

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net