মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ জন রিমান্ডে

রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এলাকায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন, মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এই আদেশ দেন। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের আদালতে হাজির করে হত্যা মামলায় ১০ দিন ও অস্ত্র মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মাহিনের পাঁচ ও অস্ত্র মামলায় রবিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সংশ্লিষ্ট আদালতের কোতোয়ালী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চার নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করে আসছিলেন।
এর আগে পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে মহিন ও রবিনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। গ্রেপ্তারের সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা ও আরেকটি অস্ত্র মামলা দায়ের হয়।
শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বিকেল ৬টার দিকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এনিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার হলো।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।