শুল্ক, জ্বালানি, আমলাতন্ত্রসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ যেগুলো

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীরা বর্তমানে চারটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
এই চ্যালেঞ্জগুলো হলো: জ্বালানি ও এর মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত নীতি, নতুন শুল্ক কাঠামোর প্রভাব, স্থানীয় পর্যায়ের পুরনো আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও কাজের গতি।
আজ মঙ্গলবার (৬ মে) বিডা আয়োজিত 'স্টেট অব ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট' শীর্ষক ওয়েবিনারের তৃতীয় পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এতে দেশ-বিদেশের ১৫০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন।
আশিক চৌধুরী বলেন, "দেশি-বিদেশি কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলাপে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এই চারটি মূল উদ্বেগের বিষয় উঠে এসেছে।"
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দেশের গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
এবিষয়ে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, এলএনজির পুরো অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রক্রিয়াজাত করে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে— আগামী দুই বছরের মধ্যে কম খরচে ও উন্নতমানের জ্বালানি শিল্পকারখানাগুলোতে সরবরাহ করা যাবে।
তিনি বলেন, "আমাদের দেশে একটি অঞ্চল ইতোমধ্যে গ্যাসে উদ্বৃত্ত। যে কেউ সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং দ্রুত গ্যাস সংযোগ পেতে পারেন। নিজেদের জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে— তা আরও সাশ্রয়ী ও নির্বিচারে পাওয়া যাবে।"
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫' প্রসঙ্গে বিডা চেয়ারম্যান আশিক বলেন, "এ ধরনের সম্মেলন নিয়মিত করতে হবে, একবার আয়োজন করলেই হবে না। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আমাদের স্বচ্ছতা ও খোলামেলা আলোচনার প্রশংসা করেছেন। এখন জরুরি হচ্ছে প্রাসঙ্গিক সংস্কারগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা।"
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি জানান, বর্তমানে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর, জাতীয় সিঙ্গেল উইন্ডো এবং নতুন বন্দর কৌশল বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়াতে 'এফডিআই হিটম্যাপ' এবং বিদেশি মুদ্রায় ঋণ-সংক্রান্ত বিধিমালা সহজ করা হয়েছে।