২০২২-২৩ অর্থ বছরে কর কর্মকর্তারা ৪৫ শতাংশ কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিলেন: সিপিডি

প্রায় ৪৫ শতাংশ কোম্পানি জানিয়েছে যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে কর কর্মকর্তারা তাদের কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন- এমনটাই উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে।
জরিপে আরও উঠে এসেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করেছেন। কারণ 'এ ব্যবস্থাগুলো কর এড়ানো ও ঘুষ নেওয়ার সুযোগ কমিয়ে দেয়'।
জরিপ অনুযায়ী, যেসব কোম্পানির ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ তাদের সম্পূর্ণ কর রিটার্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জমা দিয়েছে।
'কর্পোরেট ইনকাম ট্যাক্স রিফর্ম ফর গ্র্যাজুয়েটিং বাংলাদেশ: দ্য জাস্টিস পার্সপেক্টিভ" শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে সিপিডি। এ উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকার ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সিপিডি জানিয়েছে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১২৩টি কোম্পানির ওপর এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
জরিপের ফলাফলে কর ফাঁকির কারণ হিসেবে উচ্চ কর হার, জটিল আইন, কর ব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে।
অসৎ কর্মকর্তাদের ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করার পাশাপাশি সিপিডি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি এবং অবৈধ লেনদেন রোধে এনবিআর ভবনের কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের সুপারিশ করেছে।
সিপিডি আরও সুপারিশ করেছে যে সরকারকে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেমন স্বাধীন তদারকি, নিয়মিত নিরীক্ষা এবং স্পষ্ট প্রতিবেদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।