Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
May 23, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, MAY 23, 2025
আমাদের মা কেন দিন দিন ছোটো হতে থাকে?

মতামত

শাহানা হুদা রঞ্জনা
12 November, 2022, 12:20 pm
Last modified: 12 November, 2022, 12:37 pm

Related News

  • শক্তিশালী হতে ঠিক কতটা প্রোটিন লাগে?
  • ঈদের সাজগোজ থেকে খাবার; আগের রাতে মায়ের জাদুতেই ঈদ আনন্দ পায় পূর্ণতা
  • ‘আমাদের মা দিন দিন ছোট হতে থাকে’
  • তিনি মা দিবস প্রবর্তন করেন—তারপর বাকি জীবন এর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন
  • এসএসসি পরীক্ষায় সন্তানদের এ সাফল্য আমাদের কাছে মা দিবসের উপহার 

আমাদের মা কেন দিন দিন ছোটো হতে থাকে?

আচ্ছা মায়েরা কি কখনো মুরগির রান বা মাংসের ভাল টুকরাটা পেয়েছেন? মাছের মুড়ো বা পেটি? গরম গরম খাস্তা পরোটা, সাথে একটা আস্ত ডিম ভাজি? মুরগির গলা, মাথা, কলিজা বা সেফটিপিন নামে পরিচিত ডানাটি মা পেয়েছেন। অথবা ভাগে পেয়েছেন মুরগির ঠ্যাং, চামড়া, মাছের লেজ বা ঝোল আর বেগুন। তাইতো এখনো মায়েরা তরকারির বাটি থেকে তরকারি তুলে নেওয়ার সময় এখনো সেই অংশ বা পার্টগুলোও তুলে নেন। ভালো টুকরাটা নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না।
শাহানা হুদা রঞ্জনা
12 November, 2022, 12:20 pm
Last modified: 12 November, 2022, 12:37 pm
অলংকরণ- টিবিএস

আমাদের পরিবারগুলোতে আমরা কি কখনো লক্ষ্য করেছি যে মায়েরা কী খাচ্ছেন? সবাইকে বেড়ে দিয়ে খাওয়ানোর পর মা কী দিয়ে খাচ্ছেন? আচ্ছা মায়েরা কি কখনো মুরগির রান বা মাংসের ভাল টুকরাটা পেয়েছেন? মাছের মুড়ো বা পেটি? গরম গরম খাস্তা পরোটা, সাথে একটা আস্ত ডিম ভাজি? জানিনা। কারণ আমরা আদতে কোনদিন লক্ষ্য করে দেখিনি যে মা কী খাচ্ছেন। তাদের খাবারের থালা দেখবার মতো সময় বা সুযোগ কোনটাই পরিবারের অন্য সদস্যদের হয় না।

আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে নির্ধারিত আয়ে সংসার চালাতে গিয়ে মায়েদের খাওয়ার যে অভ্যাস দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে, সেই অভ্যাস তারা কিন্তু পূর্ণ স্বচ্ছল অবস্থাতেও পরিবর্তন করতে পারেন না। যেমন আমার আম্মাকে দেখেছি মাছ বা মাংস দুটো একসাথে খেতে চাইতো না। একটা রেখে দিয়ে বলতো রাতে খাবো। দুপুরে একা ভাত খাওয়ার সময় যেনতেনভাবে একটা, দুটো ভর্তা বা ভাজি দিয়ে খেয়ে নিতো। শুধু নিজে খাবেন বলে আম্মাকে দেখিনি কোনদিন কিছু রান্না করেছেন বা নিজের জন্য তুলে রেখেছেন। আমরা কিছু বললেই বলতেন একজন মানুষের খেতে কত কী লাগে? এজন্য যখন আমাদের সংসারে মাকে অনেক কিছু দেওয়া হয়, তখনও সেটা সে নিতে পারে না, তার সেই পুরানো অনভ্যস্ততার কারণে।

মায়ের শরীরেও পুষ্টি, বিশ্রাম, আরাম ও চিকিৎসা লাগে এগুলো খুব সাম্প্রতিক ধারণা। শুধু আম্মা কেন, আমরা খাওয়ার পর পরিবারে দাদি, চাচি, মামী, খালা কে কী খাচ্ছেন, কী ভাবছেন, কী চাইছেন আমরা তা চেয়েও দেখিনি। ভাবিনি কিছুটা রেখে খাই, যেন ওরাও কিছুটা ভাগে পায়। ভেবেছি আমাদের সবাইকে ভাগ-বাটোয়ারা করে খাওয়ানোর জন্যই এই মানুষগুলোর জন্ম।

বাসায় যা কিছু রান্না হতো তার ভালো অংশটা পরিবারের কর্তা অর্থাৎ পুরুষ ব্যক্তিটির জন্য রাখা হতো। যদি স্বামী আয় করতেন, তাহলে স্বামীর জন্য, নয়তো যে ছেলে সংসারে বেশি কনট্রিবিউট করে তার জন্য। পরিবারে একটি মুরগি রান্না হলে আম্মা কি কখনো মুরগির রানটা খেয়েছেন? আমি কি দেখেছি আম্মাকে রান বা বুকের অংশটা খেতে? গলা, মাথা, কলিজা বা সেফটিপিন নামে পরিচিত ডানাটি মা পেয়েছেন। অথবা ভাগে পেয়েছেন মুরগির ঠ্যাং, চামড়া, মাছের লেজ বা ঝোল আর বেগুন। তাইতো এখনো মায়েরা তরকারির বাটি থেকে তরকারি তুলে নেওয়ার সময় এখনো সেই অংশ বা পার্টগুলোও তুলে নেন। ভালো টুকরাটা নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। এটাও সেই অনভ্যস্ততা।

বুঝ হওয়ার সময় থেকেই দেখে আসছি আমাদের সংসারগুলোতে মায়েরা ছিলেন সবচেয়ে বেশি কর্মঠ, দায়িত্বপালনকারী শক্তি। সেই সময়ে অধিকাংশ মা-ই ছিলেন গৃহিনী। সন্তানের স্কুলের কাপড়-চোপড়, টিফিন থেকে শুরু করে ঠিক সময়ে টেবিলে নাস্তা, ভাত সবকিছুর যোগানদার ছিলেন আম্মা। বাসায় ছয়জনের জায়গায় ১০ জন মানুষ খেলেও সেই ব্যবস্থা করবেন আম্মা।

আম্মা ছাড়া আমরা অসহায়। এখনো আম্মা ছাড়া আমাদের সংসার শূন্য। তার সার্ভিস এবং ব্যবস্থাপনা ছাড়া আমাদের কোনকিছুই হয় না। আম্মার তত্ত্বাবধান ছাড়া সন্তানদের কারো পড়াশোনা হয় না। অসুস্থতার সময় আম্মার সেবা না পেলে সেবা করার আর কেউ থাকে না। মনে পড়ে স্কুল থেকে বাসায় ঢুকে চিৎকার করে বলতাম "আম্মা খিদা লেগেছে, খাবার দাও।" তারপর খেয়েদেয়ে আম্মার আঁচলে মুখ মুছে চলে যেতাম। ব্যস আমাদের দায়িত্ব শেষ।

সবসময়ই বুঝতে পেরেছি যে মা-ই হলো বাসার প্রকৃত বস। এই বস হচ্ছেন কাজ করার বস, ব্যবস্থাপনা করার বস কিন্তু সুবিধাদি পাওয়ার বস নন। বসের সুবিধা-অসুবিধা, খাবার-দাবার কিছুই আমরা লক্ষ্য করি না। আজ বুঝতে পারি সংসারে মায়ের যে কাজের ভার, তা আর কারো কাজের চেয়ে কোন অংশে কম না, বরং বেশি। বাবারা আয় করেন, কিন্তু সেই নির্ধারিত আয়ে সবার মুখে খাবার তুলে দেওয়ার দায়িত্ব মায়ের। অবশ্য মায়ের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের ছিল না।

সেদিন এক অনুষ্ঠানে গিয়ে কথা বলছিলাম কয়েকজনের সাথে, এদের সবাই নারী। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে কথা উঠল কে কী কাজ করেন সে প্রসঙ্গে। সবাই সবার পেশার কথা বলছেন। কেউ ডাক্তার, কেউবা শিক্ষক, কেউ ব্যাংকার। একজন বললেন আমি কিছু করিনা এবং আরেকজন বললেন আমি শুধু সংসার করি। লক্ষ্য করলাম নিজেদের পরিচয় দেওয়ার সময় শেষের দুজনের মাথা নত হয়ে এলো। তাদেরকে দেখে মনে হল তারা যেন নিজেদের পরিচয় নিয়ে লজ্জিত ।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আমি তাদের উদ্দেশ্যে বললাম, কে বলেছে আপনারা কিছু করেন না? সকাল থেকে রাত অব্দি আপনারা যা করেন, কখনও কি সেই কাজের হিসাব করে দেখেছেন? সেই কাজটা আপনি না করে অন্য কাউকে দিয়ে করালে এই খাতে পরিবারের কী পরিমাণ খরচ হতো একবার চিন্তা করুন। শুধু কি খরচ? মায়া মমতা, নিরাপত্তার কথা তো বললামই না। মা না থাকলে কত ধরনের ঝামেলা পোহাতে হতো পরিবারকে। আপনি গৃহে আছেন বলেই আপনার স্বামী, সন্তান যথাসময়ে যথাযথ সুবিধাটি পাচ্ছে।

তাদের রোগে-শোকে আপনিই পাশে থাকেন। সংসারের সব কাজ করেন, বয়স্ক মানুষ থাকলে তাদের দেখাশোনা করেন, বাচ্চাকে পড়ান, টিফিন তৈরি করে দেন, স্কুলে আনা নেওয়ার কাজটি করেন, আরো সব সাংসারিক দায়িত্ব পালন করেন। তাহলে আপনি কাজ করেন না, এ কথা কি ধোপে টেকে? টেকেনা। আমার যুক্তি শুনে ওনারা খুশি হলেন ঠিকই, কিন্তু শান্তি পেলেন না।

এই যে গৃহিনী মায়েরা কিছু করেন না এই ধারণা সমাজ তাদের দিয়েছে, রাষ্ট্র তাদের কোণঠাসা করে রেখেছে। কারণ অর্থনীতিতে নারীর অবদান এখনো যথার্থ দৃষ্টি পাচ্ছে না। নারী তার সময়ের একটা বড় অংশ বাজার কেন্দ্রিক কাজের চেয়ে বাজার বহির্ভুত কাজে ব্যস্ত থাকেন। এই বিনামূল্যের গৃহস্থালি কাজগুলোকেই অ-অর্থনৈতিক কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই অস্বীকৃত এবং অদৃশ্য কাজগুলো শুধু পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, রান্না, শিশুযত্ন, বয়স্ক মানুষের যত্ন নয়। এর সাথে আছে কৃষিকাজ, গবাদিপশুর দেখাশোনা ও বীজ সংরক্ষণ।

যেহেতু পরিবারে ও সমাজে মায়েদের এবং মেয়েদের অবস্থান অধঃস্তন, তাই বাংলাদেশের নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ১ কোটি ৭০ লাখ নারী অপুষ্টির শিকার। তাদের একটি অংশ রীতিমতো অপুষ্ট, তাদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম। আইসিডিডিআর,বি দেশের নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে এ তথ্য দিয়েছে।

যদিও এখন নারীরা বাইরে এসে কাজের সুযোগ পেয়েছেন। তাই বলে কি সংসারের কাজ কমেছে তাদের? বরং দুটি দায়িত্বই তাদের বহন করতে হচ্ছে। এদের মধ্যে এখনো খুব সামান্য সংখ্যক নারী নিজের মতো করে, নিজের পছন্দসই খাবার খেতে পারেন। এই আধুনিক সময়ে এসেও আমাদের সন্তানরা লক্ষ্য করার সময় পায়না, তাদের মা কেমন আছেন, কী খাচ্ছেন? প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করতে পারছেন কিনা…

পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একজন নারীর স্বাস্থ্যরক্ষায় বয়ঃসন্ধিকালসহ সব বয়সে শরীরের প্রয়োজন অনুসারে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই নারীর পুষ্টিহীনতার হার কমে আসবে। কিন্তু সেই পুষ্টি কি নারী পাচ্ছে? আমাদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিতে একজন নারী মা হওয়ার সময়ও ঠিকমতো পুষ্টির যোগান পায়না।

দরিদ্র পরিবারে নারীরা খাবার খুব কম পান। ক্রয়সীমার মধ্যে নেই বলে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা সম্ভবও হয় না। অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে নারী বা মায়ের খাবার গ্রহণ সবসময় উপেক্ষিত থাকে। গ্রামীণ মায়ের খাদ্যগ্রহণ পরিস্থিতি আরো অবহেলিত। মায়েদের তাদের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার থাকা জরুরি, সেটাও আমরা জানিনা অথবা সচেতন নই।

তেমনি চল্লিশের ঘর পেরোলেই নারীর হাড় ক্ষয় হতে থাকে এবং দুর্বল হতে শুরু করে। মেনোপজের পর হাড়ের মধ্যে নতুন কোষ গঠনের ক্ষমতা কমে যায়। তখন ক্যালসিয়ামই রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে, হাড়ের নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম খাদ্য গ্রহণের পরেও শরীরে ভিটামিন ডি'র অভাব থাকে। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি'র অভাব হলে 'অস্টিওপোরোসিস' সহজ ভাষায় হাঁটু ব্যথা, কোমর ব্যথা, মেরুদণ্ডের ক্ষয়, অস্থি ক্ষয় ইত্যাদি হয়ে থাকে। সাধারণত ৪০ বছরের ওপরের বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে সার্বিক অসচেতনতা এবং মা ও মেয়েদের প্রতি উপেক্ষা।

শরীরে আয়রনের অভাব হলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানেমিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। নারীদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা তীব্র। রক্তে আয়রনের অভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে এটা একটি চিরন্তন সমস্যা। গ্রামে আমাদের মায়েরাই হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালেন, ডিম ফুটান, আঙ্গিনায় মৌসুমি শাকসবজি উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে আসছেন। কিন্তু তার উৎপাদিত পুষ্টি কি তার শরীরের চাহিদা মেটাচ্ছে? মা পরিবারের সবার পুষ্টির যোগান দেন, অথচ নিজের পুষ্টির বিষয়ে তিনি সচেতন নন। তাই মায়েদের জন্য রক্তশূন্যতায় ভোগা, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, বাতের ব্যথা, খিঁচুনি, পানি স্বল্পতা, জরায়ু সংক্রমণ খুব সাধারণ অসুখ। অতিরিক্ত পরিশ্রম আর পরিমিত পুষ্টির অভাবে খুব অল্প সময়েই তাদের শরীর-স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে।

আইসিডিডিআর,বি জানিয়েছিল, ৮০ শতাংশ নারী রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। কারণ তারা যথেষ্ট খেতে পারেন না। পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে, 'দারিদ্র্য ও অশিক্ষার হার যেখানে বেশি, সেখানেই বেশিরভাগ নারী অপুষ্টিতে ভোগে। কম বয়সে বিয়ে, কৈশোরকালীন মাতৃত্ব, একাধিকবার গর্ভবতী হওয়া ইত্যাদি বড় কারণ। তা ছাড়া মা অপুষ্টিতে ভুগলে সন্তান অপুষ্টিতে ভুগবেই। গর্ভবতীদের মধ্যে প্রত্যেক তিন নারীর একজন অপুষ্টিতে ভুগছেন। তারা রক্তস্বল্পতা ও অপুষ্টি নিয়ে গর্ভবতী হন। ফলে গর্ভের শিশু সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না। কম ওজন নিয়ে শিশুর জন্ম হয়'।

বাংলাদেশের শহরে বা গ্রামে 'ঘরের বউ' হয়ে বা 'সন্তানের মা' হয়ে একটা মুরগি রান্না হলে রান খাওয়া তার মানায় না। মায়েদের এবং মেয়েদের জন্য বলতে চাই যতোই আধুনিক হই, যতোই আয় করি না কেন, সংসারে আমাদের অবস্থান সেই আমাদের মা-খালা বা দাদি-নানিদের মতোই রয়ে গেছে। কিছু নারী হয়তো এর উর্ধ্বে উঠতে পেরেছেন, বাকিদের অবস্থা তথৈবচ।

ছেলেকে বা ছেলেদের তুলে খাওয়ানোর লোক থাকে, মায়েরা-বউরাই তুলে খাওয়ায়। কিন্তু বউ বা মেয়েকে তুলে খাওয়ানোর বা বড় চিংড়ি খাওয়ানোর বা মুরগির রান তুলে খাওয়ানোর কেউ ছিল না, এখনো নেই। সমাজ একপেশে, আর একপেশে কারো কাছে অভিমান প্রমাণ করা কঠিন।

এখন মানুষের বায়িং ক্যাপাসিটি বেড়েছে, মাছ-মাংস কেনার হার বেড়েছে। আমার যে মা আমাদের ছোটবেলায় একটা মুরগি রান্না করতেন, আমরা বড় হতে হতে সেইটা দুই তিনটায় গিয়ে ঠেকলেও আম্মারা কিন্তু খান সেই পাখনাটাই। সমাজ আর অর্থনীতি নারীকে এই সমাজে কম খেতে, এঁটোকাঁটা খেতে অভ্যস্থ করে তোলে। 'বেশি' খাওয়া, 'বড়'টা খাওয়া লজ্জার- এই ভাবনায় অভ্যস্ত করে তোলে। তাই সচ্ছলতা এলেও ভালোটা আর নিতে পারে না তারা।

মা, স্ত্রী, বোন এবং মেয়েদের বলি এতোকিছু দায়িত্ব পালনের পরও, সমাজ কিন্তু সেই উপেক্ষার দৃষ্টিতেই দেখবে। বলবে "সারাদিন করোটা কী?" আর এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী বদলানোর জন্য নারীকেই এগিয়ে আসতে হবে। নতুন করে ভাবতে হবে "নিজে বাঁচলে বাপের নাম"। নয়তো হুমায়ুন আজাদের কবিতার মতোই বলে যেতে হবে —

আমাদের মা দিন দিন ছোটো হতে থাকে
আমাদের মা দিন দিন ভয় পেতে থাকে।
আমাদের মা আর ছোট্ট পুকুর নয়, পুকুরে সাঁতার কাটতে আমরা কবে ভুলে গেছি।
কিন্তু আমাদের মা আজো অশ্রুবিন্দু, 
গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত আমাদের মা আজো টলমল করে।

  • লেখক: সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

Related Topics

টপ নিউজ

মা দিবস / মা / পুষ্টি / নারীর অপুষ্টি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা, পাবেন ১ জুলাই থেকে 
  • অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর-কর্মকর্তাদের বহুল প্রত্যাশিত সভা ভেস্তে গেল যে কারণে
  • লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তাদের, শনিবার থেকে কর্মবিরতি
  • হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ
  • পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শালে পদোন্নতি, কী এর তাৎপর্য
  • করিডর নিয়ে 'কোনো আলোচনা হয়নি', ত্রাণ 'চ্যানেল' দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায়: খলিলুর রহমান

Related News

  • শক্তিশালী হতে ঠিক কতটা প্রোটিন লাগে?
  • ঈদের সাজগোজ থেকে খাবার; আগের রাতে মায়ের জাদুতেই ঈদ আনন্দ পায় পূর্ণতা
  • ‘আমাদের মা দিন দিন ছোট হতে থাকে’
  • তিনি মা দিবস প্রবর্তন করেন—তারপর বাকি জীবন এর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন
  • এসএসসি পরীক্ষায় সন্তানদের এ সাফল্য আমাদের কাছে মা দিবসের উপহার 

Most Read

1
বাংলাদেশ

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা, পাবেন ১ জুলাই থেকে 

2
অর্থনীতি

অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর-কর্মকর্তাদের বহুল প্রত্যাশিত সভা ভেস্তে গেল যে কারণে

3
বাংলাদেশ

লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তাদের, শনিবার থেকে কর্মবিরতি

4
বাংলাদেশ

হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ

5
আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শালে পদোন্নতি, কী এর তাৎপর্য

6
বাংলাদেশ

করিডর নিয়ে 'কোনো আলোচনা হয়নি', ত্রাণ 'চ্যানেল' দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায়: খলিলুর রহমান

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net