Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
June 16, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, JUNE 16, 2025
বাংলাদেশের ‘নীল অর্থনীতি’

মতামত

অদিতি ফাল্গুনী
18 January, 2021, 05:00 pm
Last modified: 18 January, 2021, 05:03 pm

Related News

  • কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে বাবা-ছেলের মৃত্যু 
  • বাজেট ২০২৫–২৬: ব্যবসায়ী মহলে স্পষ্ট অসন্তোষ
  • বাজেট ২০২৫-২৬: ব্লু ইকোনমি নিয়ে গবেষণায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
  • মধ্যমেয়াদে ৭ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত, ধীরে উত্তরণের আশা অর্থ মন্ত্রণালয়ের
  • আগামী অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা আরও বাড়াবে সরকার, লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১ লাখ কোটি টাকা

বাংলাদেশের ‘নীল অর্থনীতি’

লকডাউনের শুরুর কয়েক মাসে আমরা দেখেছি, কীভাবে কক্সবাজারে সেসময় টুরিস্টের চাপ কমে যাওয়ায় বিলুপ্ত সাগরলতার মতো উপকূলীয় ফুল আবার ফুটেছে! এটাই ইঙ্গিত দেয়, সমুদ্রের প্রতিবেশ রক্ষায় আমাদের কতটা মনোযোগী হতে হবে।
অদিতি ফাল্গুনী
18 January, 2021, 05:00 pm
Last modified: 18 January, 2021, 05:03 pm
অদিতি ফাল্গুনী

'মহাসাগর যদি একটি দেশ হতো, তবে সেটাই হতো পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি।' 
[ইউরোপিয়ান কমিশন]


'নীল অর্থনীতি' কী?

সাগর ও মহাসাগর- প্রবাল দ্বীপ ও ডলফিন, তিমি মাছ আর মুক্তো ভরা ঝিনুক, জাহাজ ও জলদস্যুদের গা ছমছমে যত গল্প, হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসনের সেই দুঃখী মাছকুমারী অথবা জুলভের্নের 'টোয়েন্টি থাউজ্যান্ড লিগস আন্ডার দ্য সি' নামে কল্পবিজ্ঞান উপন্যাসের ক্যাপ্টেন নিমো... সমুদ্র চিরদিনই মানুষের কাছে অপার রহস্যে ভরা।

জলের নিচের এই বিচিত্র পৃথিবী সম্বন্ধে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৪তম লক্ষ্যমাত্রায় 'জলের নিচের জীবন' শিরোনামে বলা হয়েছে: 'টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর এবং সামুদ্রিক সম্পদসমূহ রক্ষা করা ও টেকসইভাবে ব্যবহার করাই আমাদের উচিত।' আর বিশ্বব্যাংকের মতে, 'নীল অর্থনীতি হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উন্নততর জীবিকা সংস্থান এবং কাজের লক্ষ্যে সামুদ্রিক প্রতিবেশের উন্নয়ন; তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন সামুদ্রিক প্রতিবেশের সুরক্ষা ধ্বংস না হয়।'

আজকের উন্নয়ন পরিভাষায় 'নীল অর্থনীতি' হলো মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকা ও সামাজিক সমতা, পরিবেশগত ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ও শ্রেষ্ঠ ব্যবহার।

হালের দুনিয়ায় 'নীল অর্থনীতি' বা সাগর-মহাসাগরভিত্তিক অর্থনীতির ধারণা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার যেহেতু 'জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) কাঠামো ২০৩০'-এ স্বাক্ষর করেছে, কাজেই এই কাঠামোর আওতায় 'লক্ষ্যমাত্রা-১৪' শিরোনামে 'জলের নিচে জীবন' বিষয়ে কাজ করতেও আমাদের সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। সামুদ্রিক দূষণ হ্রাস, সামুদ্রিক প্রতিবেশের নিরাপত্তা ও পুনরুদ্ধার, সামুদ্রিক অম্লতা হ্রাস, টেকসই মাছ শিকার, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক এলাকাগুলো রক্ষা করা, সমুদ্রে অতিরিক্ত মাছ ধরার প্রবণতা হ্রাস করা, সামুদ্রিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উপযোগিতা বাড়ানো, সামুদ্রিক পরিবেশের সুরক্ষায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, গবেষণা, ক্ষুদ্র জেলেদের সাহায্য করা ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন বাস্তবায়ন ও প্রয়োগসহ মোট দশটি উদ্দেশ্য পূরণের উপায় হিসেবে 'লক্ষ্যমাত্রা-১৪' কাজ করে।

আমাদের সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদের পরিধি  

সুন্দরবন থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন অবধি আমাদের সমুদ্র তটরেখা (৭১০ কিলোমিটার) প্রসারিত। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ ও পশ্চিমে প্রবাল রয়েছে আর সেই সাথে রয়েছে কচ্ছপ প্রজননোপযোগী পরিবেশ। এছাড়া বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক শৈবালও এখানে রয়েছে। সুন্দরবন আবার রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও কুমিরের লীলাভূমি। ২০১৫-১৬ সালে সমুদ্র থেকে আমাদের আহরিত মাছের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ২৬ হাজার টন যেখানে দেশের অভ্যন্থরস্থ নদী-নালা-খাল-বিল-পুকুরসহ অন্যসব জলাশয় থেকে আহরিত মাছের পরিমাণ ছিল ৩২ লাখ ৫১ হাজার টন। এতেই প্রমাণিত হয়, গভীর সমুদ্রে মাছসহ অন্য যে কোনো সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের জন্য আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে।

গভীর সমুদ্র এলাকা থেকে তেল ও গ্যাস আহরণের জন্য উপযুক্ত কৌশল আমরা এখনো গ্রহণ করিনি। আমাদের সামুদ্রিক মাছসমূহের ভেতর ইলিশ সবচেয়ে বিখ্যাত। বাংলাদেশের মোট আহরিত মাছের ১৬ শতাংশ হচ্ছে ইলিশ মাছ।

মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা জয়

আমরা সবাই মোটামুটি জানি, নিকট অতীতে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের সীমানা নিয়ে আমাদের বিরোধ ছিল। ২০১২ সালে 'আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে'র একটি রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সমুদ্র সীমানার বিরোধ মীমাংসিত হয়। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডের দ্য হেগে 'পার্মানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন' বা 'স্থায়ী আদালতে' একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আমাদের সমুদ্র সীমানার বিরোধ মীমাংসিত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, উপরোক্ত দুই রায়ের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৩ বর্গমাইল এলাকার সমপরিমাণ আঞ্চলিক সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল সমপরিমাণ 'একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন-ইইজে)' এবং ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল এলাকার সমপরিমাণ মহীসোপান-সহ চট্টগ্রাম উপকূলের সামুদ্রিক যত প্রাণসম্পদের ওপর বাংলাদেশ তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে। তবে, দ্য হেগের স্থায়ী আদালতের রায় সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও ভারতের ভেতর বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান নিয়ে ৫০ বর্গমাইল এলাকার সমপরিমাণ একটি 'ধূসর এলাকা'র কথা রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

অতি সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা অবশ্য নয়া দিল্লীর কাছে এই 'ধূসর এলাকা'র ওপর তার সার্বভৌমত্ব দাবি করেছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সূত্রে এটাও জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর দিল্লীর হায়েদ্রাবাদ ভবনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য-উপাত্ত সহকারে এই ৫০ বর্গমাইল 'ধূসর এলাকা' বিষয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দাবি করেন। এর আগেই অবশ্য ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে মহীসোপানগত এই বিরোধের ৫০ বর্গমাইল 'ধূসর এলাকা' বিষয়ে বাংলাদেশ জার্মানির হামবুর্গস্থ 'আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ট্রাইব্যুনালে' তার প্রতিবাদ পেশ করে।

ইতোমধ্যে দ্য হেগের স্থায়ী আদালত এই ৫০ বর্গ কিলোমিটার ধূসর এলাকা নিয়ে এখনো কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি ও দুই দেশকে (বাংলাদেশ ও ভারত) দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটাতে বলেছে। সেইসঙ্গে স্থায়ী আদালতের অধিকাংশ সদস্য মনে করেন, এই ৫০ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে মহীসোপানের নিচের অংশটি বাংলাদেশের ভাগে এবং উপরের অংশটুকু ভারতের ভাগে পড়ে। 

গোটা ২০২০ সালজুড়ে অতিমারি পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ অবশ্য এ বিষয়ে আর কতটা অগ্রসর হয়েছে, সেটা বলা খানিকটা অনিশ্চিত। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিজয়ের পাশাপাশি এই সমুদ্রসীমার সম্পদ এখন কীভাবে আমরা সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে পারি এবং 'নীল অর্থনীতি'র বিকাশ ঘটাতে পারি সেটাও ভেবে দেখা দরকার। গোটা কক্সবাজার-টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন এলাকায় বছরজুড়ে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের উপস্থিতি আমাদের সামুদ্রিক প্রতিবেশের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জাতিগত সহিংসতা ও নির্মূল অভিযানের শিকার ছয় লাখেরও বেশি দূর্গত, রোহিঙ্গা নর-নারী বৃহত্তর কক্সবাজার জেলার নানা জায়গায় আশ্রয় নিলে এই বিপুল পরিমাণ উদ্বাস্তু জনগণের আশ্রয়, শৌচাগার ও পানীয় পানি থেকে শুরু করে খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ নানা মানবিক সুযোগ পূরণের গুরু দায়িত্ব নিতে গিয়ে বাংলাদেশের ওই অঞ্চলের প্রতিবেশে সত্যিই অনেক চাপ পড়েছে। অবশ্য সদ্যই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

লকডাউনের শুরুর কয়েক মাসে আমরা দেখেছি, কীভাবে কক্সবাজারে সেসময় ট্যুরিস্টের চাপ কমে যাওয়ায় বিলুপ্ত সাগরলতার মতো উপকূলীয় ফুল আবার ফুটেছে! এটাই ইঙ্গিত দেয়, সমুদ্রের প্রতিবেশ রক্ষায় আমাদের কতটা মনোযোগী হতে হবে। 

'নীল অর্থনীতি'র খোঁজে: কীভাবে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে পারে? 

ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়ের পর বাংলাদেশের স্থল ও জলভাগের আওতাধীন জমির পরিমান সমান: দুটোই ৩২ শতাংশ। মূলত ২০১২ সাল থেকে গোটা বিশ্বে 'নীল অর্থনীতি'র ধারণা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সারা পৃথিবীতেই এখন 'নীল অর্থনীতি'র সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে। যেহেতু সমুদ্র হতে পারে মানুষের অনাগত দিনের খাবারের বড় ভাণ্ডার, রক্ষা করতে পারে জলবায়ু; আর প্রচুর খনিজ এবং ওষধি সম্পদেরও যোগান দিতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের এক হিসাবে দেখা যায়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমুদ্র বা নীল অর্থনীতির অবদান প্রায় ৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য। বাংলাদেশের বর্তমান সমুদ্র বা নীল অর্থনীতির আয়ের ভেতর ২৫ শতাংশ আসে পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে, মাছ ধরা খাত থেকে আসে ২২ শতাংশ, যাতায়াত থেকে ২২ শতাংশ এবং গ্যাস ও তেল উত্তোলন থেকে আসে ১৯ শতাংশ। প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বাংলাদেশি মাছ শিকার এবং ৬০ লাখ বাংলাদেশি সমুদ্রের পানি থেকে লবণ তৈরি ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে জড়িত। সব মিলিয়ে এ দেশের প্রায় ৩ কোটি মানুষ তাদের জীবন ও জীবিকার প্রশ্নে সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল।

আগামী এক দশকে জাহাজ নির্মাণ শিল্প বাংলাদেশে আরও বিকশিত হবে। সমুদ্র সংশ্লিষ্ট পর্যটন শিল্প আরও ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া ঝিনুক, সামুদ্রিক মুক্তাসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক সম্পদ সংশ্লিষ্ট ব্যবসাও সামনে বৃদ্ধি পাবে বলে অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন [টুওয়ার্ড আ ব্লু ইকোনমি, বিশ্বব্যাংক প্রকাশনা, মে ২০১৮]।

'নীল অর্থনীতি'র বিকাশে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ

১. বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনায় আগামিতে সমুদ্রে মাছ ধরা, সমুদ্র ভ্রমণ জাতীয় খাতে অর্থনীতির অধিকতর বিকাশের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে [সূত্র: সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ, ২০১৫]।

২. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র থেকে জানা যায় , এ পর্যন্ত (২০১৯) বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের আওতায় প্রায় ৯০টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

৩. ইতোমধ্যে দেশের আটটি উপকূলীয় এলাকায় মোট ৩৮টি স্পট 'সংরক্ষিত এলাকা' হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। 

৪. ২০১৪ সালে ঢাকায় বঙ্গোপসাগকে কেন্দ্র করে 'নীল অর্থনীতি'র বিকাশে সংশ্লিষ্ট অন্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়। বাংলাদেশ 'ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশনে'র একটি সদস্য রাষ্ট্রও বটে।

৫. সমুদ্র তটরেখার অপরিমিত বাতাসকে টারবাইনের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুতে রূপান্তরিত করার সম্ভাবনাও আমাদের রয়েছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ৮৫ প্রজাতির পাখি ও ১২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে।

৬. বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মাছ আমাদের মোট বার্ষিক মাছ শিকারের ২০ শতাংশ এবং পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।

৭. লবণ তৈরিতে সমুদ্রের পানি থেকে ছোট পরিশোধনকারী কিছু ইউনিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ লবণ তৈরি করে থাকে। তবে এর পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে [টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা- বাংলাদেশ সরকারের অগ্রগতি প্রতিবেদন, ২০২০]।

'নীল অর্থনীতি' বিকাশে প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো

১. কক্সবাজার-টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন এলাকাগুলোতে টুরিস্টদের অব্যাহত ও অনিয়ন্ত্রিত চাপ।

২. সাম্প্রতিক সমুদ্র বিজয়ের পর আমাদের সমুদ্রসংলগ্ন মোট জমির আয়তন বেড়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার হয়েছে, যার দেখভাল করার মতো উপযুক্ত প্রযুক্তি আমাদের নেই।

৩. বছরের ৬৫ দিন সমুদ্র ও দেশের অভ্যন্তরে বেশ কিছু নদীতে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাটি বাস্তবে পালন করা প্রায়ই নানা কারণে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

৪. প্রায় ২৩০টি নদীর নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। তবে গত কয়েক দশকে অসংখ্য নদীর অব্যাহত দূষণ আমাদের সমুদ্রকেও বিপন্ন করে তুলেছে- যেহেতু সব নদীই শেষে সাগরে গিয়ে মেশে। 

'নীল অর্থনীতি'র বিকাশে কী কী করা যেতে পারে? 

১. দেশের সমুদ্র নির্ভর শিল্পগুলোর এক তালিকা প্রণয়ন।

২. উপকূলীয় পর্যটন, জাহাজ নির্মাণ ও মাছ আহরণ জাতীয় শিল্পগুলোর আরও বিকাশ ও একইসঙ্গে সামুদ্রিক প্রতিবেশের সুরক্ষার মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ তার 'নীল অর্থনীতি'র অধিকতর বিকাশের পথ সুগম করতে পারে। 

  • লেখক: কথাসাহিত্যিক

Related Topics

টপ নিউজ

ব্লু ইকোনমি / অর্থনীতি / সাগর

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ইরানের নতুন হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৮, তেহরানে কুদস ফোর্সের সদর দপ্তরে হামলার দাবি ইসরায়েলের
  • পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবে ইরান, আইন প্রণয়ন করছে
  • ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ যুক্ত করার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন
  • ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ যেভাবে শেষ হতে পারে...
  • ইরান কেন রাতে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে
  • বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও কূটনৈতিক সংযোগ বাড়াতে ৫ দেশে নতুন মিশন খুলবে বাংলাদেশ

Related News

  • কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে বাবা-ছেলের মৃত্যু 
  • বাজেট ২০২৫–২৬: ব্যবসায়ী মহলে স্পষ্ট অসন্তোষ
  • বাজেট ২০২৫-২৬: ব্লু ইকোনমি নিয়ে গবেষণায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
  • মধ্যমেয়াদে ৭ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত, ধীরে উত্তরণের আশা অর্থ মন্ত্রণালয়ের
  • আগামী অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা আরও বাড়াবে সরকার, লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১ লাখ কোটি টাকা

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

ইরানের নতুন হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৮, তেহরানে কুদস ফোর্সের সদর দপ্তরে হামলার দাবি ইসরায়েলের

2
আন্তর্জাতিক

পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবে ইরান, আইন প্রণয়ন করছে

3
আন্তর্জাতিক

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ যুক্ত করার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন

4
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ যেভাবে শেষ হতে পারে...

5
আন্তর্জাতিক

ইরান কেন রাতে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে

6
বাংলাদেশ

বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও কূটনৈতিক সংযোগ বাড়াতে ৫ দেশে নতুন মিশন খুলবে বাংলাদেশ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net