শাকিরা, ডুয়া লিপা, বিটিএস থাকতে পারে উদ্বোধনে, কেমন ছিল আগের বিশ্বকাপের গানগুলো?

২০২২ সালের কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের বহুল প্রতীক্ষিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নভেম্বরের ২০ তারিখ দেশটির জর শহরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। খবর স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা'র।
তবে এ অনুষ্ঠানে কারা গাইবেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানা যায়নি। ফিফা'র আশা বিটিএস ব্যান্ডকে মঞ্চে আনতে পারবে সংস্থাটি। বেশকিছু গণমাধ্যমের সূত্রমতে, আবারও বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা যেতে পারে শাকিরাকে।
টোটাল রিপোর্টার-এর খবর অনুযায়ী, কলম্বিয়ান এ গায়িকা বিটিএস ও ডুয়া লিপাকে নিয়ে বিশ্বকাপের পর্দা তুলবেন। যদি এমনটি হয়, তাহলে প্রথমবারের মতো ফুটবলের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা যাবে বিটিএস ও লিপাকে।
এবারের বিশ্বকাপ কাতার বনাম ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে।
বিশ্বকাপের গানগুলো
চিলি ১৯৬২: দ্য রক অভ দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ
১৯৬২ সালে চিলিকে দিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপে গানের ঐতিহ্য শুরু হয়। সেবছর ১৯৬০-এর দশকের একটি ধ্রুপদী রক গেয়েছিল 'লস র্যাম্বলার্স'। গানের কথা লিখেছিলেন জর্জ রোহাস।
ইংল্যান্ড ১৯৬৬: ওয়ার্ল কাপ উইলি (হয়্যার ইন দিস ওয়ার্ল্ড উই আর গোয়িং)
১৯৬৬'র বিশ্বকাপেও রক গান রাখা হয়েছিল। গানটি গেয়েছিলেন লনি ডনেগ্যান।
মেক্সিকো ১৯৭০: ফুটবল মেক্সিকো ৭০
মেক্সিকোর সঙ্গীত ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় এ গান পরিবেশন করেছিল 'লস হারমানোস জাভালা'।
জার্মানি ১৯৭৪: ফুটবল
প্রথমবারের মতো পুরুষদের ফুটবল বিশ্বকাপে কোনো নারী হিসেবে মারিলা রডোউইচ গান পরিবেশন করেন।
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮: ওয়ার্ল্ড কাপ সং ও অফিসিয়াল ওয়ার্ল কাপ ম্যাচ
ইতালিয়ান কম্পোজার এনিও মরিকোন এ সাউন্ডট্র্যাকটি তৈরি করেন। দ্বিতীয় গানটি পরিবেশন করে বুয়েন্স আয়ার্স সিটি সিম্ফনিক ব্যান্ড ও দ্য কোলোন থিয়েটার কয়্যার।
স্পেন ১৯৮২: দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ
এটি গেয়েছিলেন প্লাসিডো ডমিঙ্গো।
মেক্সিকো ১৯৮৬: এল মুন্ডো উনিডো পর ব্যালন (দ্য ওয়ার্ল্ড ইউনাইটেড বাই দ্য বল)
ওই সময়ের ভক্তদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় ছিল এ গানটি। এটি লিখেছিলেন মেক্সিকান কম্পোজার হুয়ান কার্লোস আবারা।
ইতালি ১৯৯০: উনেস্তাতে ইতালিয়ানা
দুই সঙ্গীতশিল্পী- ইতালিয়ান গিওর্গিও মরোডার ও মার্কিন টম হুইটলকের লেখা গানটি পরিবেশন করেন জিয়ানা নানিনি ও এডোয়ার্ডো বেনাতো।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪: গ্লোরিল্যান্ড ওয়ার্ল্ড কাপ
এ গানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো রেকর্ড বের করে ফিফা। এ গান পরিবেশন করেছিলেন ড্যারিল হল ও সাউন্ডস অভ ব্ল্যাকনেস।
ফ্রান্স ১৯৯৮: দ্য কাপ অভ লাইফ
বিশ্বকাপের অন্যতম স্মরণীয় ও জনপ্রিয় একটি গান। গেয়েছিলেন পুয়ের্তোরিকো'র আইকনিক সঙ্গীতশিল্পী রিকি মার্টিন।
কোরিয়া-জাপান ২০০২: বুম
প্রথম দ্বি-জাতি বিশ্বকাপে গাওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয় মার্কিন শিল্পী অ্যানাস্টাসিয়াকে।
জার্মানি ২০০৬: দ্য টাইম অভ আওয়ার লাইভস
আবেগঘন এ গানটি গেয়েছিলেন মার্কিন গায়ক টনি ব্র্যাক্সটন ও ইতালিয়ান ভোকাল গ্রুপ ইল ডিভো।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০: ওয়াকা ওয়াকা বা দিস ইজ আফ্রিকা
অনেকের কাছে বিশ্বকাপের সবচেয়ে স্মরণীয় গান এটি। লিখা ও গাওয়া, দুটোতেই ছিলেন কলম্বিয়ান গায়ক-গানলেখক শাকিরা। সঙ্গে ছিলে দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রেশলিগ্রাউন্ড দল।
ব্রাজিল ২০১৪: উই আর ওয়ান (ওলে ওলে)
লিখেছেন সিয়া ফার্লার। আর গেয়েছিলেন পিটবুল, জেনিফার লোপেজ ও ক্লডিয়া লিট।
রাশিয়া ২০০৮: লাইভ ইট আপ
এ গানের পরিবেশনে দেখা গেছে নিকি জ্যাম, উইল স্মিথ, ইরা ইস্ত্রেফি ও ডিপলোকে।
কাতার ২০২২: হায়া, হায়া, বেটার টুগেদার
এবারের বিশ্বকাপের সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন মার্কিন শিল্পী ত্রিনিদাদ কর্ডোনা, নাইজেরিয়ান শিল্পী ডাভিডো, ও কাতারি শিল্পী আইশা।