হৃত্বিককে সমন ক্রাইম ব্রাঞ্চের, কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলায় দিতে হবে জবানবন্দি

বলিউড তারকা হৃত্বিক রোশনকে সমন জারি করেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিট। অভিনেতার দায়ের করা ই-মেইল মামলায় জবানবন্দি দিতেই হৃত্বিককে ডেকে পাঠাল মুম্বাই পুলিশের সাইবার সেলের এই বিশেষ ইউনিট।
২০১৬ সাল থেকে চলে আসা এই মামলা নতুন মোড় নিয়েছিল গত বছর ডিসেম্বরে। গত বছরের শেষেই কঙ্গনা-হৃত্বিক 'ই-মেইল' বিতর্ক মামলা সাইবার সেল থেকে চলে যায় ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্টালিজেন্স ইউনিটের হাতে।
তদন্তভার হাতে নেওয়ার প্রায় দু-মাস পর হৃত্বিককে সমন পাঠাল মহারাষ্ট্রের ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিট। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই খবর নিশ্চিত করেছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার সময় ক্রাইম ব্রাঞ্চের মুম্বাই দফতরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে হৃত্বিক রোশনকে।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত্র ২০১৬ সালে। সেই সময় এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা হৃত্বিককে 'সিলি এক্স' বলে খোঁচা দেন। এরপরই ই-মেইল চালাচালির ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন হৃত্বিক।
রাকেশ রোশন পুত্রের অভিযোগ, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে হৃত্বিককে ১৪৩৯টি মেইল পাঠানো হয়েছিল। অভিনেতার কথায় এই সমস্ত ই-মেইল তার ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। হৃত্বিকের আইনজীবী দাবি করেন, কঙ্গনার কিছু মন্তব্যে তার মক্কেলের মানহানি হয়েছে। এর ভিত্তিতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯-এর ৬৬ (সি এবং ডি) ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল।
২০১০ সালে 'কাইট' ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন হৃত্বিক-কঙ্গনা। এরপর ২০১৩ সালে 'কৃশ-থ্রি' ছবিতে অভিনয়ের সময়ই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। ২০১৪ সালে করণ জোহরের পার্টিতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় কঙ্গনা-হৃত্বিকের একটি ছবিও ভাইরাল হয়।
কঙ্গনা বারবার হৃত্বিকের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক থাকার কথা দাবি করে এলেও সেটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হৃত্বিক রোশন। হৃত্বিকের কথায়, তাদের মধ্যে শুধুমাত্র প্রফেশনাল সম্পর্ক ছিল।
হৃত্বিক-কঙ্গনা ই-মেইল মামলা বিত্রক নিয়ে, 'সুপার ৩০' মুক্তির আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হৃত্বিক বলেছিলেন, 'কাউকে বুলি করা হলে সেটা অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে এবং গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।…. সত্যি বলতে সরাসরি ওই মহিলার (কঙ্গনা) বিরুদ্ধে আমার কোনো আইনি মামলা নেই। কারণ এ দেশে ধরে নেওয়া হয়, পুরুষদের কেউ উত্ত্যক্ত করতে পারে না।'