সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক হচ্ছে ই-ফাইলিং

সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে শিগগিরই ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আজকে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অর্থ উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, খাদ্য উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে আজ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সভায় সরকারের সব স্তরে ডিসিশন মেকিং-এ ই-ফাইলিং চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে বিডাতে ই-ফাইলিং আছে, কিন্তু অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানে বা মন্ত্রণালয়ে দেখা যাচ্ছে ই-ফাইলিং নেই। এতে সরকারের ডিসিশন মেকিং স্লো হয়ে যায়। কো-অর্ডিনেশন যেন সহজ হয় এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা যায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব এটা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
এর মাধ্যমে দুর্নীতি কমে আসবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন বলেন, 'অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ই-ফাইলিং এর কারণে দুর্নীতি অনেক কমে আসে। যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, এস্তোনিয়ায় দুর্নীতিমুক্ত কিভাবে হয়েছে সেটা তারা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চেয়েছেন।'
থার্ড পার্টি দিয়ে প্রজেক্টগুলো ইভালুয়েশন করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, '২০০৯-২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গড়ে ৭০% ব্যয় বৃদ্ধি ছিল। রাজনৈতিক প্রভাব ও অযৌক্তিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ১৪-২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ অপচয় হয়েছে।'
মেট্রোরেলের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'মেট্রোরেলের আরেকটি অংশের ৫.২ বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্টে এডিবি ইভালুয়েট করে দেখেছে যে এখানেই ৫০০ মিলিয়ন ডলার সেভ করা যায়।'