কুমিল্লায় বিএনপির একপক্ষের মিছিলে অপর পক্ষের হামলা, গুলির অভিযোগ; আহত ১০

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির এক পক্ষের প্রতিবাদ মিছিলে অপর পক্ষের হামলা, ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা মামলার প্রতিবাদে নাঙ্গলকোট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি ব্যাংক চত্বরে পৌঁছালে ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে।
নাঙ্গলকোট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন জসিম বলেন, 'সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মুকুল ও যুবদল নেতা তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হামলার সময় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে, ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।'
আহতদের মধ্যে রয়েছেন বাইয়ারা গ্রামের ছাত্রদল নেতা মো. নোমান, পৌরসভা ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান, ঢালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা আকরাম হোসেন ও মো. ফারাবি।
জানা গেছে, ১ ফেব্রুয়ারি নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজারে দলীয় কোন্দল ও বিরোধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সেলিম ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভূঁইয়া পক্ষের নেতা ছিলেন। এ ঘটনায় মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়াসহ তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
নুরুল আমিন জসিম বলেন, 'আমাদের নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়াসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আমরা মিছিল বের করি। বাজারে পৌঁছালে গফুর ভূঁইয়ার অনুসারীরা ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ে।'
'এতে অন্তত ৮-১০ জন আহত হন, তাদের মধ্যে আমার ছেলে ওমর সাদিকও রয়েছে। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,' তিনি আরও বলেন।
এ বিষয়ে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, 'এর আগেও আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এখন আমাদের নামে মামলা দিয়ে উল্টো আমরা প্রতিবাদ করলে আবার হামলা চালানো হয়।'
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে তার পক্ষের নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মুকুল বলেন, 'আজ আমাদের নেতা কুমিল্লায় এসেছেন, আমরা সেখানে ছিলাম। যুবদলের নতুন কমিটি গঠনের জেরে তাদের মধ্যে গ্রুপিং দেখা দিয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখন আমাদের ওপর দায় দিচ্ছে।'
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, 'বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।'