আলাদা হচ্ছে এনবিআরের নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব, রূপরেখা চূড়ান্ত করল সংস্কার কমিটি

বহুল আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নীতি প্রণয়নের (পলিসি ফর্মুলেশন) দায়িত্বকে আলাদা করার প্রস্তাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে রাজস্ব সংস্কার সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, 'ইন্ডিপেন্ডেন্ট পলিসি কমিশন' নামে এই পলিসি আলাদা করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
এনবিআর কর্মকর্তাদের অসন্তোষের কারণে পলিসি কমিশনকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীনে রাখা হবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তবে কমিশন এনবিআরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি-না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এর রূপরেখা কী হবে— তা জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে কমিটির সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে। তবে বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
তিনি বলেছেন, "পলিসি সেপারেশন বিষয়টি এনবিআরের অনেকগুলো রিফর্ম এজেন্ডার মধ্যে একটি মাত্র। এর চেয়েও বড় বড় কাজ বিশেষত– ডিজিটাইলাজেশন, ইন্টিগ্রেশনের মতো বিষয় রয়ে গেছে।"
কমিটির অপর সদস্য, সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
এর আগে, কমিটি এনবিআরের পলিসি কমিশনকে আলাদা করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) অধীনে, তথা প্রশাসন ক্যাডারের অধীনে দেওয়ার বিষয়ে খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করেছে— এমন খবরে অসন্তোষ তৈরি হয় এনবিআরের মধ্যে।
এরপর এনবিআরের কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের দুই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র নেতারা রোববার পরামর্শক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন।
যদিও কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন এমন প্রস্তাবের বিষয়টি টিবিএসকে নাকচ করে দিয়েছেন।
কয়েকদিন আগে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। ওই প্রতিবেদনে নীতি প্রণয়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ডেডিকেটেড পলিসি ইউনিট গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ এতে করে এনবিআরের ওপর থেকে কৌশলগত কর নীতি প্রণয়নের চাপ কমবে; একইসঙ্গে এনবিআর কর সংগ্রহ ও নীতি প্রয়োগের দিকে আরও বেশি মনযোগ দিতে পারবে।
এছাড়া প্রতিবেদনে এনবিআরের চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, 'জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগের বর্তমান প্রক্রিয়াটি প্রতিষ্ঠানের কার্যকর প্রশাসন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।'