উত্তরায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন কলেজসহ নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
উত্তরা-১১-এ বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাসের শেল ছুড়ছে।
তবে এ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা বিক্ষোভ দমন করতে তাদের ওপর গুলি চালায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে, তাহমিদ হুজাইফা নামের ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) এক শিক্ষার্থী উত্তরায় বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তার চাচাতো ভাই উসামা বিন সাইদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
উসামা বলেন, 'তাহমিদ বর্তমানে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।'
এই মুহূর্তে পুলিশ দাঙ্গা গাড়ি এবং এপিসি নিয়ে ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে।
গতকাল এক ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, 'পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির কাউকেই আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি।'
তা সত্ত্বেও পুলিশের সরাসরি গুলি চালানোর অসংখ্য ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রমতে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা ১৫০। অন্যদিকে বেশিরভাগ গণমাধ্যম এ সংখ্যা দুইশ'রও বেশি বলে জানিয়েছে।