নিউইয়র্কে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ দিদারুলের পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে নিউইয়র্কের একটি হোটেলে দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এসময় দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের হাতে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'পত্রিকায় ঘটনাটি পড়েছি। পড়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে হলো। টিভিতে দেখেছি নিউইয়র্কে তার শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বহু মানুষের শোক-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। নিউইয়র্কে আসার পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের মনে হয়েছে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।'
পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে তিনি কর্মরত ছিলেন। তার দুজন সন্তান রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম ও চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন দিদারুল ইসলাম। বন্দুকধারী এক তরুণ সেদিন বহুতল করপোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন। সেসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে গুলিতে দিদারুল নিহত হন। দিদারুলের মরদেহে আট থেকে দশটি বুলেটের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।