শেষমুহূর্তে হাটে-হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ছোটাছুটি

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। রাজধানীর কোরবানির হাটগুলোয় চলছে শেষ মুহূর্তের ক্রেতা বিক্রেতাদের-দর কষাকষি।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা থেকে ১৪টি গরু নিয়ে কলাবাগানের তেতুলতলা মাঠে এসেছিলেন কৃষক আবু সাঈদ। সেখানে দাম প্রত্যাশার চেয়ে কম থাকায় মাত্র তিনটি গরু বিক্রি করেছেন গত দুদিনে। বিকেল সাড়ে তিনটায় তিনি চলে এসেছেন তেজগাঁওয়ে।
এখানে কলাবাগানের তুলনায় গরু প্রতি অন্তত পাঁচ থেকে সাত শতাংশ বেশি দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
তেজগাঁও হাটে দুপুরের মধ্যেই কেনাবেচা শেষ করে হাসিমুখে বাড়ি যাচ্ছেন বেশিরভাগ কৃষক ও বেপারী। যারা শেষ মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন, সেই ক্রেতা-বিক্রেতা দু'পক্ষই দর কষাকষিতে ব্যস্ত।

সরেজমিনে দেখা যায়, তেজগাঁও হাটে মাঠ পুরো খালি। বাইরের দিকে রাস্তায় কিছু গরু কেনাবেচা চলছে।
আফতাব নগর হাট না বসায় এবার তেজগাঁওয়ে বেচাকেনা অনেক বেড়েছে। গতবারের তুলনায় যা অন্তত ৫০ শতাংশ বেড়েছে জানান হাসিল আদায়কারীরা।

এদিকে কম দামে কেনার আশায় ক্রেতারাও ছুটছেন এক হাট থেকে অন্য হাটে।
যেমন মতিঝিল এলাকার হাসান মাহমুদ দু-তিনটি হাট ঘুরে সোজা চলে যান গাবতলী। তিনি খবর পেয়েছেন, সেখানে ঢাকার বাইরে থেকে আরো গরু আসছে ট্রাকে করে। তাই গাবতলীতে গরু কেনার পরে পিকআপ ভ্যানের ভাড়া দিয়েও কিছু টাকা বাঁচাতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।