ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারের ৩৩ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২,০০০-এর বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত

কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে অতিবাহিত ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ৩৩টি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের প্রায় ২,৫৪৮টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর মধ্যে প্রায় ২৭৮টি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে ১,৬১১ রোহিঙ্গা শরণার্থীর ওপর। এছাড়া সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। রোববার (১৪ মে) এসব তথ্য জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়।
ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নাম্বার ক্যাম্প। এর প্রায় ৪৮৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উখিয়া উপজেলার কুতুপালং টু ইস্ট শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা আতাউল্লা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ে গাছ পড়ে আমাদের ঘর দুমড়েমুচড়ে গেছে। পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে কোথায় থাকব, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।'
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান টিবিএসকে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ে ও ভারী বর্ষণে ভূমিধসের আশঙ্কায় মোট ৩,০৩১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।'
'এছাড়া ক্যাম্পের ভেতরে ৩,৬৭৫টি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছিল যেখানে একসঙ্গে এক লাখ ১০ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া যেত।
'ভারী বৃষ্টি না থাকলে তিন–চার দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শেল্টারগুলো মেরামত করা হবে,' জানান তিনি।

কক্সবাজারে এক লাখ ৯৮ হাজার ৩৭টি পরিবারের মোট নয় লাখ ৬০ হাজার ৫৩৯ জন রোহিঙ্গা ৩৩টি ক্যাম্পে বাস করেন। এ ছাড়া নোয়াখালীর ভাসানচরে আরেকটি শরণার্থী ক্যাম্প রয়েছে।
এদিকে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে অতিক্রম করার সময় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার জেলার ৫৭টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভার দুই হাজার ২২টি ঝুপড়ি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়া ১০ হাজার ৪৬৯টি বসতঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, উখিয়া, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় মোট ৭০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ৩৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া পাঁচ হাজারের মতো গবাদিপশুও ছিল এসব আশ্রয়কেন্দ্রে।