জোয়ারের আঘাতে কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভে আবারও ভাঙন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঢেউয়ের আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাট থেকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় সড়কটির অন্তত ১০টি জায়গায় ভাঙনের কথা জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন আহমদ বলেন, মেরিন ড্রাইভের কয়েকটি অংশে ভাঙনের ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ওই এলাকায় এক-দেড় হাজার একরের চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। পানি ঢুকে পড়লে ওইসব জমি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শতে একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, এক নম্বর ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১০টির বেশি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও উত্তাল ঢেউয়ের কারণে ফসলি জমিতে লবণাক্ত পানি ঢুকেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটা শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকেল নাগাদ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তিনি জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে ও চলতি বছরের মে মাসে জোয়ারের প্রভাবে মেরিন ড্রাইভের এই অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। তখন স্থানটি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি বিশেষ ইউনিট জিও টিউব দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে। এখন আবারও এটি ভাঙনের কবলে পড়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নিবাহী কমকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।