রাজশাহীতে সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম, বক্তব্য দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুপুর ২টায় রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দান সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। দুপুর থেকেই বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ইতোমধ্যেই ময়দানের সমাবেশস্থল পরিপূর্ণ হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা। এছাড়া মাদ্রাসা মাঠের বাইরেও পাঠানপাড়া, ফায়ার সার্ভিস মোড়, ঘোষপাড়া মোড়সহ আশেপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। থেমে থেমেই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছে চারপাশ।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ।
দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের আগে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আজকের সমাবেশকে সামনে রেখে রাজশাহীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী।

নেতাকর্মীরা জানান, তারা ভোরেই বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক দিয়ে শহরে প্রবেশ না করে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে গ্রামের মধ্য দিয়ে ঘুরে ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করে শহরে আসছেন।
এছাড়া কেউ কেউ নদীপথে ও রেলপথে রাজশাহীতে আসছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বিকল্প পথ ব্যবহার করে শহরে প্রবেশ করে শহরের আলাদা আলাদা স্থানে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। তারপর স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে করতে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন।
নগরীর তালাইমারী মোড়ে পুঠিয়া দুর্গাপুরের কয়েক শো নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন। তাদের মধ্যে পুঠিয়ার ভাল্লুকগাছি ইনসান আলী মোল্লা ও আবু বক্কর সিদ্দিক।

তারা জানান, ভোরে তারা রওনা দিয়েছেন সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর জন্য। প্রধান রাস্তা দিয়ে গেলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন বাধা দিচ্ছে। তাই তারা ঘুরপথে গ্রামের মধ্যে দিয়ে ভ্যানে ও বাটারিচালিত ইজিবাইকে এসেছেন। এজন্য তাদের কয়েক ঘণ্টা লেগেছে।
নগরীর বন্ধগেট এলাকায় এসে পৌঁছেছেন গোদাগাড়ী এলাকার কয়েকশো নেতাকর্মী। রবিউল ইসলাম নামের একজন কর্মী জানালেন, তারা ২০টি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে ঘুরপথে রাজশাহীতে পৌঁছেছেন। এখান থেকে মিছিল করে সমাবেশস্থলে যাবেন।
সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও এসে পৌঁছেছেন সমাবেশস্থলে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সমাবেশে ১৫ লাখ বিএনপির নেতাকর্মীদের সমাগম হবে।
এদিকে রাজশাহীতে তৃতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটের প্রথম দিন সিএনজিচালিত ইজিবাইক, লেগুনা, নসিমন, করিমন জাতীয় যানবাহন চললেও শুক্রবার থেকে সেসব যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শনিবারে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল এসব যানবাহন চলাচল করলেও তার সংখ্যা খুব কম। বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ফাঁকা আছে বলা যায়।
যেসব যাত্রী রাজশাহীর বাইরে যাচ্ছেন তাদের অতিরিক্ত ভাড়া গুণেই শহরের বাইরে যেতে হচ্ছে। তবে শহরের বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশের তল্লাশীর শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ভদ্রা মোড়ে মিলন নামের একজন লেগুনা চালাক জানান, যাত্রী নিয়ে শহরের বাইরে যাওয়া যাচ্ছে। প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।