করোনাভাইরাসে সিলেটের সাংসদ মাহমুদ সামাদের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েস।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কয়েসের ভাই যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী ফেসবুকে প্রথম এই মৃত্যুসংবাদ জানান।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৫ সালের ৩ জানুয়ারি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী জুলহাস আহমদ বলেন, সাংসদকে ৭ মার্চ (রোববার) রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তিনি। বিকালে তার ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান কয়েস।
জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে টিকা নেন এ সংসদ সদস্য। তারপর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল না। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি অসুস্থতাবোধ করতে থাকেন। এরপর ৭ মার্চ সিলেট থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হন কয়েস।
করোনা সংক্রমণের শুরুতে নিজ সংসদীয় এলাকার মানুষজনকে সহযোগিতা করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন কয়েস।
তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন।
তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন।