ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আর নেই

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রোববার (৪ মে) বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি মারা যান।
অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান। আরেক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আজ বাদ এশা (সাড়ে ৮টা) ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে এবং আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত ২১ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছিলেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। এর পর আবারও আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে ফেরেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী হিসেবে লড়েছেন।
১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে জন্ম ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
এরপর ১৯৮৬ সালে দেশে ফিরে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হন বরেণ্য এই আইনজীবী। তিনি ১৯৯০ সালে দ্য ল' কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলেও ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।
এদিকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে শোকসন্তোপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় তার মৃত্যু বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।