Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
June 01, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, JUNE 01, 2025
বাঘ নিয়ে যতকথা

ফিচার

মেহেদি হাসান
20 December, 2021, 09:30 pm
Last modified: 20 December, 2021, 10:04 pm

Related News

  • বাঘ বাঁচাতে সাইকেলে চড়ে ডাচ রাষ্ট্রদূতের সুন্দরবন যাত্রা
  • ফেউয়ের ডাকেই কি বাঘ আসে? কারা এই ফেউ?
  • হীরার স্বপ্ন: ভাগ্য বদলের আশায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা ভারতের রত্নের শহরে খনন করে যাচ্ছেন
  • ১১টি বাড়ার পর সুন্দরবনে এখন বাঘের সংখ্যা ১২৫
  • সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা: জরিপের ফলাফল ঘোষণা ৮ অক্টোবর

বাঘ নিয়ে যতকথা

প্রাচীন এশীয়বাসীগণের নিকট বাঘের ঐহিক ও পারর্থিক গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। বাঘের গায়ের অপরিমেয় তেজ, ডোরাকাটা গাত্রাবরণ, সমান তালে স্থলে ও জলে বিচরণ ক্ষমতা তাকে আধ্যাত্মিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পশুতে পরিণত করেছিল। অনেকেই কল্পনায় বাঘের সাথে ঐশ্বরিকতার সমাবেশ ঘটিয়েছিল।
মেহেদি হাসান
20 December, 2021, 09:30 pm
Last modified: 20 December, 2021, 10:04 pm
সিংহবাহিনী দূর্গা বাংলায় হয় ব্যাঘ্রবাহিনী দূর্গা

আপনি জেনে অবাক হবেন, বিশাল পৃথিবীর মাত্র ১৩টি দেশে বাঘ নামীয় প্রাণীটির অস্তিত্ব টিকে আছে। ছয়টি দেশে বাঘকে জাতীয় পশুর মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। এশিয়া, আরো সঠিকভাবে বললে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বাঘ এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। পৃথিবীর মোটামুটি ৭০ শতাংশ বাঘের বাস ভারতবর্ষে। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ জলাভূমিকে বিবেচনা করা হয় বাঘ বিচরণের অভয়ারণ্য হিসেবে। বাঘদের এই শেষ আশ্রয়স্থল যেটি এককালে পরিচিত ছিল 'ব্যাঘ্রাতিমন্ডল' নামে সেটিকেও গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনে এখন হাতেগোনা কয়েকশ' বাঘ টিকে আছে মাত্র। পোড়াকয়লা সংগ্রহের জন্য ম্যানগ্রোভ নষ্ট হয়েছে, আর জলাভূমি নষ্ট হয়েছে চিংড়ি চাষের জন্যে। চিংড়ির পোনা সংগ্রহের জন্যে ব্যবহৃত নাইলন জাল জলের অন্যান্য প্রজাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথাকথিত আধুনিকতার ছোঁয়া শুধু ইতর প্রাণীদের নয় স্থানীয় অধিবাসীদেরকেও আক্রান্ত করেছে। একটি ট্যুরিস্ট কোম্পানি ভাসমান হোটেল, ক্যাসিনো, হেলিপ্যাড, গলফ কোর্স নির্মাণের মহাপরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছে যেটি স্থানীয় কাঠুরে, মৌয়াল, বনজীবী, বৈদ্য শ্রেণীর জীবিকার ওপর সরাসরি আঘাত হানতে উদ্যত হয়েছে। বনজীবী সে গোষ্ঠীগুলোর আহার-বিহার, প্রসার-শিকার সকল কাজ সম্পন্ন হয় বনকে কেন্দ্র করে। বন থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করার অর্থ তাদের অস্তিত্বকে মুছে দেওয়া।

আমাদের দূরবর্তী পূর্বপুরুষগণের ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক আচার-আচরণগুলো থেকে আমরা তাদের প্রকৃতির সাথে সংশ্লিষ্টতা ও নির্ভরতার ব্যাপারে জানতে পারি। তারা খোলা আকাশের নিচে বসে আগুন জ্বেলে যূথবদ্ধ হয়ে প্রার্থনা করতেন। প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানগুলোকে তারা ভয় করতেন। তারা এসকল উপাদানের ভেতর একটি অদৃশ্য আত্মাকে কল্পনা করতেন এবং তাদের সাথে নিজেদের উদ্ভাবিত পন্থায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেন। তাদের দলের প্রধান ছিলেন 'শ্যামন' বা ওঝা। দলের সবচেয়ে বুদ্ধিমান, আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিমান এবং জাদুবিদ্যায় পারদর্শী ব্যক্তিটি হতেন 'শামান'। তিনি দলের অগ্রভাগে থেকে আত্মাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করতেন। পাহাড়-নদী, পশু-বিহঙ্গ, জন্তু-জানোয়ার, মাটি-মৎস্য সবকিছুর সাথেই আধ্যাত্মিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করতেন তারা।

এ প্রসঙ্গে একটি প্রাণীর নাম না আনলেই নয়। সেটি হচ্ছে আমাদের জাতীয় পশু বাঘ। প্রাচীন এশিয়বাসীগণের নিকট বাঘের ঐহিক ও পারর্থিক গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। বাঘের গায়ের অপরিমেয় তেজ, ডোরাকাটা গাত্রাবরণ, সমান তালে স্থলে ও জলে বিচরণ ক্ষমতা তাকে আধ্যাত্মিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পশুতে পরিণত করেছিল। অনেকেই কল্পনায় বাঘের সাথে ঐশ্বরিকতার সমাবেশ ঘটিয়েছিল।

মোঘল রাজাগণ হাতিতে চড়ে বাঘ শিকারে বের হতেন

কারো কারো মাঝে বাঘের প্রতিরূপ অঙ্কন করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এ যাবৎকালের সবচেয়ে পুরোনো বাঘের প্রতিরূপ বা অনুকল্প হল রাশিয়ার আমুর নদীর তীরের প্রতিরূপ যেটি প্রায় ৫৫০০ বছরের পুরোনো। পাথরে খোদিত বাঘের সে চিত্রগুলোকে পেট্রোগ্লিফ বলা হয়। নদী তীরবর্তী সে উপজাতিগুলো অর্ধ-মানব অর্ধ-ব্যাঘ্র চিত্র অঙ্কন করত এ আশায় যে এর ফলে বাঘের অমিয় তেজ তাদের ভেতর এসে ভর করবে। তাদের আধ্যাত্মিক ও লৌকিক জীবনে বাঘ খুব গুরুতরভাবে প্রবেশ করেছিল। সাইবেরিয় অঞ্চলগুলোতে বিংশ শতকের প্রথমভাগেও এ ধরণের বিশ্বাসের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। শ্যামনিজমের বিলুপ্তির সাথে সাথে বাঘের প্রতি ভক্তিও হারিয়ে যেতে দেখা গেছে। একসময় সেখানে বাঘ শিকারের বা বাঘের প্রতি মারমুখো হওয়ার দায়ে গোত্র থেকে বিতাড়নের ঘটনা ঘটত। আর পরবর্তী দশকগুলোতে মানুষের হাতে বাঘ মারা পড়তে পড়তে রাশিয়ায় বাঘের সংখ্যা  বর্তমানে দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন-চারশ'তে।

মহাপ্রাচীরের দেশ চীনে বাঘভক্তির ইতিহাস আরো পুরোনো। তারা বাঘ বিশেষ করে সাদা বাঘকে তাদের ধর্ম, সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে অতি উচ্চস্তরীয় স্থান দিয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে বাঘ আর ড্রাগনের আলাদা গুরুত্ব। ধারণা করা হয়, এ দুটি শাশ্বত প্রাণী স্বর্গ থেকে দুই দিগন্ত দখল করে আছে। তারা একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত। তাদের দ্বৈতাধিপত্যের ধারণাটি সংসারের নৈমিত্তিক ব্যাপারগুলোকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব দুই সহস্র বছর আগেই চীনে এ ধারণাটি ফেং-শুই নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। ফেং-শুইকে ভাঙ্গলে দুটো শব্দ বেরিয়ে আসে, ফেং মানে বায়ু (সাদা বাঘ), আর শুই মানে জল (ড্রাগন নক্ষত্রপুঞ্জ)। ফেং-শুই ধারণাটি বাস্তুনির্মাণ বা গৃহনির্মাণ ক্ষেত্র থেকে শুরু করে যৌনশক্তিজ্ঞাপক দুটো সত্তা হিসেবেও চর্চিত হত।

চীনের হান রাজাদের শাসনের প্রথমদিকে কফিনের ঢাকনার ওপরে বামদিকে ড্রাগন, ডানদিকে সাদা বাঘ এবং সোনালি ও রূপালি রঙের দুটো চাঁদ আঁকা হত স্বর্গীয় শক্তিগুলোর চিহ্ন প্রকাশক হিসেবে। সকল ভয়ংকর ও অশুভ শক্তির প্রতিরোধকারক হিসেবে সাদা বাঘের চিহ্ন অঙ্কনের প্রচলন ছিল। বাঘ ছিল তাদের কাছে অন্ধকার ও বায়ুর অধিপতি, আদি নারীশক্তির প্রতিনিধি, মন্দির ও পূর্বপুরুষগণের রক্ষাকারী। বাঘের গায়ের ডোরার সাথে মিল রেখে রাজাগণের ব্যবহৃত চিহ্ন ও স্ট্যাম্পের রঙ নির্ধারণ করা হয়েছিল সাদা, কালো ও সোনালী। এগুলোর ভাবার্থও ছিল। এগুলোর দ্বারা রাজার প্রভাব, বাঘের ন্যায় তেজ ও সামরিক শক্তিকে প্রকাশ পেত।

চীনে বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার চীনাদের মানসিকতা থেকে বাঘকে একেবারে বাদ দিতে পারেনি। বুদ্ধের মৃত্যুর পর বাঘ ও বুদ্ধকে নিয়ে চীনে অনেক লোকগাঁথার প্রচলন ঘটে। সেখানকার এক বুদ্ধ অবতারের কাহিনি বেশ মজাদায়ক। কাহিনীটি এমন – একবার এক বাঘিনী খুদায় কাতর হয়ে নিজের ছোট ছোট ছানাগুলোকে খেতে উদ্যত হলে বুদ্ধ এক অবতারে এসে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে বাঘিনীর খুদা নিবারণ করে। এর দ্বারা বুদ্ধধর্মের অহিংসা তথা শরণদানের দিকটি প্রচার করা হয়।

পাঞ্জাব হিলের শিকার

চীনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে সাথে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনও সাধিত হয়েছে। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের ছোঁয়ায় এবং কুয়োমিনতাং সরকারের উত্থানের মাধ্যমে চীনে ব্যাপক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধিত হয়। ১৯৪৯ এ গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পরও পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত থাকে। সাধু-সন্ত, পূজারী-তপস্বীদের বিতাড়িত করা হয়। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের তোড়ে পূর্বের অনেক আচার-আচরণ, বিশ্বাস-পরম্পরা হারিয়ে যায়। বাঘকে তখন একটি হিংস্র প্রাণী ছাড়া কিছু কল্পনা করা হয় না। গ্রামের প্রান্তিক চাষিরা ঢোল-ঢ্যাড়া পিটিয়ে আয়োজন করে বাঘ শিকারে বের হয়। এভাবেই চীনে বাঘ একটি স্বর্গীয় ও শাশ্বত প্রাণী থেকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীতে পরিণত হয়।

বাঘ-বাঘিনীর যৌনমিলনের প্রক্রিয়াটিও বড় অদ্ভুত। বাঘিনী তার দখলকৃত বা অবস্থানকৃত এলাকার  সীমান্তের ধার ঘেঁষে মূত্র বিসর্জন করে পুরুষ বাঘের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা। মূত্রের গন্ধে যখন কয়েকটি বাঘ এসে হাজির হয় তখন তাদের মধ্যে লড়াই সংগঠিত হয়। যে জেতে বাঘিনী তাকে তার দেহদান করে। এ দেহদান ৫০ বার পর্যন্ত চলে। বাঘ এবং বাঘিনীর সাথে যৌনতা ও যৌনশক্তির তুলনা এশিয়ায় সুপ্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। অনেকেই বিশ্বাস করে বাঘলিঙ্গ সরাসরি যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ ধারণা থেকে অনেক বাঘ শিকারের ঘটনা ঘটেছে। ভারতে অবৈধভাবে বাঘ শিকার করে সেগুলো চীন, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে পাচারের ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার কিছুকিছু গণিকালয়ে বাঘলিঙ্গ থেকে প্রস্তুত সুমিষ্ট সুরা পরিবেশনের কথাও শোনা যায়। 

বাঘের পিঠে দুর্গা।

এবার আসা যাক বাংলার বাঘের প্রসঙ্গে। বাংলা মুলুকে বাঘকে চীনের তাওবাদীদের ন্যায় ধর্ম তথা সংস্কৃতিতে উচ্চস্থান প্রদান করা হয়নি। এখানে হিন্দু-মুসলিম উভয় সংস্কৃতিতে বাঘকে রাখা হয়েছে। বাংলা যুগেযুগে বহিরাগতদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। মোঘল বাদশাহগণ বাঘকে একটি হিংস্র ও ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করেছেন। সেকালে বাঘ শিকার ছিল আভিজাত্য ও বীরত্বের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। মোঘল সম্রাট আকবর মাত্র একটি তীর-ধনুক নিয়ে শিকারে বের হতেন। তাঁর পুত্র জাহাঙ্গীর সাধারণত পায়ে হেঁটে শিকারে বেরোতেন। তিনি ও তাঁর পারিষদবর্গ মাঝেমাঝে বন্দুক নিয়ে বের হতেন। তাঁদের সাথে বাঘের সরাসরি সংঘর্ষের মতো ঘটনাও ঘটেছে। মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের নামের অর্থ বাঘ। এ থেকে বোঝা যায়। মোঘলরা বাঘকে শৌর্যের প্রতীকও ভাবতেন। আওরঙ্গজেব তাঁর তলোয়ারের হাতলের দিকে একটি বাঘের ছবি খোদাই করান। এসব ঘটনা মোঘলদের যুদ্ধবাজ মানসিকতাকে ইঙ্গিত করে। মোঘলরা বাঘ-মহিষের লড়াইয়ের আয়োজন করতেন। নিহত বাঘগুলোকে প্রদর্শনের জন্য ঝোলানো হত। সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁর ৪৮ বছরের শাসনামলে ৮৬টি বাঘ ও সিংহ শিকার করেন।

ব্রিটিশরা বাঘকে ভারতের একপ্রকার জাতীয় প্রতীক মনে করত। তারা শৌর্য-বীর্যের প্রতীক হিসেবে বাঘকে ব্যবহারের পক্ষপাতী ছিল না। বাঘকে ভীতিকর ও ঘৃণ্য পশু হিসেবে বিবেচনা করতেই ইংরেজরা বেশি পছন্দ করত। তারা মহিষ-গাই-ছাগল প্রভৃতি পশু টোপ হিসেবে ব্যবহার করে মাচা বা হাতির পিঠ থেকে বাঘের ওপর অস্ত্র নিক্ষেপ করত। অনেকগুলো হাতি দিয়ে একটি বাঘকে ঘিরে ধরে তাড়িয়ে তাড়িয়ে সেটাকে মারতে তারা পছন্দ করত। এ ব্যাপারে তাদের প্রধান পৃষ্টপোষক ছিল স্থানীয় অধীন রাজাগণ। ইংরেজ শিকারী জিম করবেট বাঘ ও বাঘ শিকার নিয়ে ১৯৪৪ সালে 'কুমায়ুনের মানুষখেকো' বা 'The man-eaters of Kumayun' নামে একটি বই লিখেছিলেন যেটি বাঘের ব্যাপারে ইংরেজদের মনোভাবকে প্রকাশ করে। সে মনোভাব বাঘেদের প্রতি একদম সুখকর ছিল না। এইসময় একটি ঘটনা ঘটে যেটি ছিল বাঙালির ব্যাঘ্রপ্রীতির এক চরম উৎকর্ষ। বাঙালি হিন্দুরা তাদের আরাধ্যা দেবী দূর্গার বাহন সিংহকে বাঘ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করে। একদিকে স্নেহাতুর ও অন্যদিকে দণ্ডদায়ী হিসেবে দেবী দূর্গার যোগ্য বাহন হিসেবে বাঘের প্রতিস্থাপন বাঙালি হাসিমুখে মেনে নেয়।

টিপু সুলতানের নির্দেশে ইংরেজদের অপমান করে এ ধরনের প্রতিমূর্তি তৈরী করা হয়েছিল

বাঘের সাথে উপমহাদেশের আরেকজন ব্যক্তির খুব ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। মহীসূরের রাজা টিপু সুলতান। টিপুকে ব্রিটিশরা পছন্দ না করলেও ভারতীয়রা তাঁকে ভক্তিভরে স্মরণ করে। জাতিতে কন্নড় টিপুর নামের অর্থ 'বাঘ'। তিনি তলোয়ারে কামানে বাঘের প্রতিরূপ খোদাই করিয়েছিলেন। রাজধানীর দেয়ালের গায়ে টিপু এক মানুষ সমান উচ্চতার কিছু প্রতিরূপ অঙ্কন ও খোদাই করিয়েছিলেন যেখানে দেখা যাচ্ছিল সাদা চামড়ার কিছু মানুষ বাঘের দ্বারা আক্রান্ত ও ভীত। সেগুলোর ভেতর সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল একটি কাঠের প্রতিমূর্তি যেটি টিপুর পুরোনো শত্রু জেনারেল স্যার হেক্টর মুনরোর ছেলের সুন্দরবনে বাঘ শিকারে গিয়ে বাঘের হাতে মারা পড়ার ঘটনাকে নগ্নভাবে নির্দেশ করত।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করলে বাঘ শিকার ও বাঘের চোরাচালানের ঘটনা কমার বদলে উলটো বেড়ে গিয়েছিল। বাঘের চামড়া অভিজাতবর্গ চড়া দামে কিনতেন। কৈলাস শঙ্খলা নামীয় এক ভারতীয় ক্যাম্পেইনার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনে গিয়ে এ চোরাকারবারির তদন্ত করেন। তাঁর সে প্রতিবেদন ১৯৬৭ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রথম পাতায় প্রকাশ করলে সবার টনক নড়ে। বাঘ শিকার ও বাঘ পাচারের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বাঘ সংরক্ষণের জন্যে সচেতনতা বাড়ানো হয়। এতকিছু সত্ত্বেও বাঘের বিলুপ্তির দিকটি কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না।

  • সূত্র: হিস্ট্রি টুডে

Related Topics

টপ নিউজ

বাঘ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ট্রাম্প প্রশাসনে থাকাকালীন মাদকে বুঁদ ছিলেন ইলন মাস্ক, প্রতিদিন লাগত ২০ বড়ি কিটামিন
  • ২০৪০ সালের আগেই হারিয়ে যেতে পারে আপনার ফোনের সব ছবি
  • উদ্বোধনের আগেই সাগরে বিলীন ৫ কোটি টাকায় নির্মিত কুয়াকাটা মেরিন ড্রাইভ
  • ট্রাম্প প্রশাসনকে ৫ লাখ অভিবাসীর বৈধ মর্যাদা বাতিলের অনুমতি দিল মার্কিন আদালত
  • ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করার ঘোষণা ট্রাম্পের
  • আয়া সোফিয়া: সাম্রাজ্যের পতনের পরও যেভাবে টিকে আছে ১৬০০ বছরের পুরোনো স্থাপনা, কী এর রহস্য

Related News

  • বাঘ বাঁচাতে সাইকেলে চড়ে ডাচ রাষ্ট্রদূতের সুন্দরবন যাত্রা
  • ফেউয়ের ডাকেই কি বাঘ আসে? কারা এই ফেউ?
  • হীরার স্বপ্ন: ভাগ্য বদলের আশায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা ভারতের রত্নের শহরে খনন করে যাচ্ছেন
  • ১১টি বাড়ার পর সুন্দরবনে এখন বাঘের সংখ্যা ১২৫
  • সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা: জরিপের ফলাফল ঘোষণা ৮ অক্টোবর

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প প্রশাসনে থাকাকালীন মাদকে বুঁদ ছিলেন ইলন মাস্ক, প্রতিদিন লাগত ২০ বড়ি কিটামিন

2
আন্তর্জাতিক

২০৪০ সালের আগেই হারিয়ে যেতে পারে আপনার ফোনের সব ছবি

3
বাংলাদেশ

উদ্বোধনের আগেই সাগরে বিলীন ৫ কোটি টাকায় নির্মিত কুয়াকাটা মেরিন ড্রাইভ

4
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প প্রশাসনকে ৫ লাখ অভিবাসীর বৈধ মর্যাদা বাতিলের অনুমতি দিল মার্কিন আদালত

5
আন্তর্জাতিক

ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করার ঘোষণা ট্রাম্পের

6
আন্তর্জাতিক

আয়া সোফিয়া: সাম্রাজ্যের পতনের পরও যেভাবে টিকে আছে ১৬০০ বছরের পুরোনো স্থাপনা, কী এর রহস্য

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net